প্রতীকী ছবি।
কেউ জানিয়েছেন, বৃদ্ধা মাকে বাড়িতে একা রেখে যাওয়া সম্ভব নয়। কেউ আবার সদ্যোজাত মেয়েকে কার ভরসায় রেখে যাবেন, তুলেছেন সেই প্রশ্ন।
কারও বুকের ব্যথা হঠাৎ খানিকটা বেড়েছে। কারও আবার টানা বসে থাকলে পায়ের পাতা ফুলে উঠছে। তাই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বসে কাজ করা সম্ভব নয়।
এমন নানা কারণ দেখিয়ে ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতির আর্জি জানিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের প্রায় তিন হাজার ভোটকর্মী। যে রকম সব কারণ জানানো হয়েছে, তা দেখে হাসি চাপতে পারছেন না জেলার পোলিং পার্সোনেল সেলের কর্মীরা। ওই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক শশীকুমার চৌধুরী বলেন, ‘‘মেডিক্যাল বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া ভোটের ডিউটি থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে না। প্রশিক্ষণে গরহাজির থাকায় ৯৬৮ জনকে শো-কজ করা হয়েছে।’’
সম্প্রতি কাটোয়ার একটি স্কুলে শিক্ষকদের এক সভায় দাবি ওঠে— কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোটের ডিউটি করা সম্ভব নয়। একই রকম দাবি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-আধিকারিক থেকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদেরও। শিক্ষকদের একাংশের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের ‘অভিজ্ঞতা’র কথা মাথায় রেখেইএই দাবি তুলছেন তাঁরা। এক শিক্ষকের অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে আমার বুথে সশস্ত্র পুলিশ ছিল। ঘণ্টাখানেক পর থেকে তাঁর আর দেখা মেলেনি। এ বার তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া বুথে যাওয়া সম্ভব নয় বলে আলোচনা হয়েছে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের দাবি, প্রত্যেক ভোটেই ডিউটি এড়াতে কিছু কর্মী নানা ‘অজুহাত’ দেন। এ বার গোড়ার দিকে সেই ঝোঁক কম ছিল। কিন্তু, সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার সম্ভাবনা কম, এ কথা জানার পরেই পরপর আবেদন জমা পড়তে শুরু করেছে। অনেকে আবার নিজেরা সরাসরি চিঠি না পাঠিয়ে পরিজনদের দিয়ে আবেদন করাচ্ছেন। এক জন যেমন জানিয়েছেন, ‘মেয়ের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে দক্ষিণ ভারতে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। টিকিট কাটা থেকে ঘর বুকিং, সব হয়ে গিয়েছে। এখন ভোটের ডিউটি পড়লে আমার স্বামী যাবেন কী ভাবে? কিছু একটা ব্যবস্থা করে রেহাই দিন।’
জেলা প্রশাসনের এক কর্তার মন্তব্য, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে ভোট প্রক্রিয়া-সহ নানা বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মতামত দেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যেই অনেককে দেখছি ভোটের কাজে যেতে হাত তুলে দিচ্ছেন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy