‘সেল’ বা পুজোয় নতুন ডিজাইনের সম্ভার! সেই খবরের জানান দিচ্ছে বিজ্ঞাপন। এ বছরের নয়, গত বছরের চৈত্র সেল বা পুজোর সময়ের বিজ্ঞাপন সেগুলি। পুজো বা সেল পেরোলেও ব্যানার, ফ্লেক্স সরানো হয়নি। এমনই দৃশ্য বর্ধমান শহর জুড়ে। আর এই ফ্লেক্স, ব্যানারেই বাড়ছে পথের যন্ত্রণা, জানান বর্ধমানের বাসিন্দারা।
বীরহাটা, কার্জনগেট লাগোয়া এলাকা-সহ শহরের নানা প্রান্ত এক কথায়, মুখ ঢেকেছে বিজ্ঞাপনে। এর জেরে ঘটছে নানা বিপত্তি।
যেমন, শহরেরই এক গাড়ির চালক জানান, ব্যানার ধীরে ধীরে ছিঁড়ে যায়। কিন্তু লোহার বা কাঠের কাঠামো রয়ে যায়। তা ভেঙে যে কোনও মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শুধু তাই নয়, বেশি সংখ্যক মানুষের নজরে পড়ার জন্য রাস্তার গা ঘেঁষে ডিভাইডার বা ল্যাম্পপোস্টে টাঙানো ব্যানারের খোঁচায় অনেক সময়েই মোটরবাইক আরোহী বা সাইকেল চালকের জামাও ছিঁড়ছে বলে অভিযোগ। তাঁরা জানান, এমন ঘটনা বেশি দেখা যায় বিসি রোড, রাজবাটি প্রভৃতি এলাকায়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
শহরের বাসিন্দা পদ্মা দে নিত্য দিন বিসি রোড দিয়ে যাতায়াত করেন। তিনি বলেন, ‘‘কালবৈশাখী বা অন্য ঝড়ের সময়ে এই সব বিজ্ঞাপন থেকে বিপত্তি ঘটতে পারে।’’ তা ছাড়া অনেক সময়ে বিজ্ঞাপনে ছাতা আটকে গিয়েও বিপত্তি ঘটছে বলে অভিযোগ। খণ্ডঘোষ থেকে বর্ধমান কাজে আসা দীনবন্ধু সরকার জানান, কার্জন গেটে অনেক সরকারি অনুষ্ঠানের ব্যানার দীর্ঘদিন পড়ে রয়েছে।
শহরবাসীর দাবি, ব্যানার, পোস্টার বা রাজনৈতিক দলের পতাকা সবই থাক, তবে তা নির্দিষ্ট উচ্চতায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা খুলে ফেলারও দাবি উঠেছে। তাঁদের অভিযোগ, কার্জন গেট, বীরহাটা প্রভৃতি এলাকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য বড় গেট তৈরি করা হয়। অনুষ্ঠান শেষ হলে ব্যানার খোলা হলেও থেকে যায় বাঁশের গেট। তাতেও ছোটখাটো বিপত্তি ঘটছে।
বিষয়টি নিয়ে বর্ধমান পুরসভা জানায়, নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যানার, ফেস্টুন না টাঙানোর বিষয়ে ‘মাইকিং’ করে সতর্কতা ও সচেতনতা তৈরির চেষ্টা চলছে। বর্ধমান পুরসভার সচিব জয়রঞ্জন সেন জানান, কিছু অবৈধ ব্যানার, ফেস্টুন ইতিমধ্যেই কিছু খুলে ফেলা হয়েছে। ফের তা নিয়ে
অভিযান হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy