অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ ঘিরে শনিবারও সরগরম থাকল মঙ্গলকোটের আঁতকুল গ্রাম। এ দিন এক তৃণমূল কর্মী অভিযোগ করেন, সিপিএম মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা গ্রামের তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের প্রাণনাশ ও গ্রামছাড়া করার হুমকি দেয়।
দেবনাথ ঘোষ নামে এক তৃণমূল কর্মীর অভিযোগ, এ দিন সকালে ১৪ জন সিপিএম কর্মী হাতে বন্দুক, টাঙ্গি, লাঠি প্রভৃতি নিয়ে গ্রামে ঢোকে। প্রাণনাশ ও গ্রামছাড়া করার হুমকি দেয় তৃণমূল কর্মীদের। শুধু তাই নয়, ভোটের দিন বুথে গেলে গ্রামছাড়া করারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিশ্বনাথ থান্দার নামে এক ব্যক্তিকে বন্দুক হাতে গ্রামে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যায় বলেও ওই তৃণমূল কর্মী অভিযোগ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে থেকে গ্রামে গোলমালের সূত্রপাত। সিপিএমের অভিযোগ, মঙ্গলকোটে দলের মিছিলে পা মেলানোয় গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দাকে পানীয় জল নিতে দেওয়া যাবে না বলে ফতোয়া দেয় তৃণমূল। গ্রামের সিপিএম সমর্থক পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, ‘৩৪ বছরে সিপিএম কিছু করেনি। তাই তৃণমূলের আনা জল তোদের দেওয়া হবে না’— এই মর্মে ফতোয়া দেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। শুক্রবার সিপিএম দাবি করে, বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলকোটের বিডিও তথা অতিরিক্ত নির্বাচন আধিকারিকের দ্বারস্থ হন দলের কর্মী, সমর্থকেরা। তারপরেই সিপিএম সমর্থক পরিবারগুলির উপর হামলা চালায় শাসকদল। ওই ঘটনায় এক জন বাহাত্তর বছরের বৃদ্ধা-সহ মোট ১২ জন জখম হন। সকলকেই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
তৃণমূলের ওই এলাকার পর্যবেক্ষক তথা বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের অভিযোগ, “গত বিধানসভা ভোটের আগে ওই এলাকা সিপিএম দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়। ধান্যরুখী, আঁতাকুলে সিপিএমের লোকজন আমাদের কর্মীদের ঘরছাড়া করে। এখন এলাকা অশান্ত করতে ফের একই পথ নিয়েছে সিপিএম।’’ যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক বলেন, ‘‘তৃণমূল বিভিন্ন ভাবে আমাদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। এখন অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’ মঙ্গলকোট থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগটির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy