সিটি সেন্টারের এক রেস্তোরাঁয় বিকাশ মশানের তোলা ছবি।
শীতের বিকেল-সন্ধে মানেই মুখরোচক খাবারের খোঁজ। রসনাতৃপ্তির জন্য ঢুঁ এই রেস্তোরাঁ থেকে সেই রেস্তোরাঁয়। আর কাবাবের বন্দোবস্ত থাকলে তো কথাই নেই, সটান সেঁধিয়ে যাওয়া। বড় হোটেল হোক বা রাস্তার পাশের ফাস্টফুড কাউন্টার— ঠান্ডার আমেজে শিল্পাঞ্চলে কাবাব বিক্রি হচ্ছে রমরমিয়ে।
দুর্গাপুরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ জানায়, কাবাবের আয়োজন সারা বছরই থাকে। কিন্তু অন্য সময় রোল-চাউমিন ঝড়ের মতো ব্যাট করে। তবে বাতাসে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করলেই কাবাব গা-ঝা়ড়া দিয়ে ওঠে। এখন সন্ধে নামলেই খাদ্যরসিকেরা ভিড় জমাচ্ছেন কাবাবের খোঁজে।
রেস্তোরাঁর কর্মীরা জানান, কাবাব বহু রকম হয়। তবে বেশি চাহিদা মুরগির কাবাবের। এ ছাড়া মাটন বা মাছের কাবাবও হয়। কিছু ক্রেতা আবার নিরামিষ কাবাবও চেয়ে থাকেন। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের এক রেস্তোঁরার কর্মী শেখ আরমান জানান, মাংসে মশলা মাখিয়ে দীর্ঘক্ষণ ম্যারিনেট করে রাখতে হয়। এই পদ্ধতির মধ্যেই লুকিয়ে আছে কাবাবের আসল স্বাদ। তাঁর কথায়, ‘‘এটাও একটা শিল্প। যেখানে এটা ঠিক মতো হয়, সেখানকার কাবাবের চাহিদা বেশি থাকে।’’
বিধাননগরের একটি কাবাব কাউন্টারের কর্মী অবনী শ্যাম জানান, চিকেনের পাশাপাশি ইদানীং মাটনের কাবাবের চাহিদাও বাড়ছে। তবে মাছের কাবাবের চাহিদা তেমন বেশি নয়। তিনি আরও জানান, যারা নিরামিষে অভ্যস্ত তাঁদের জন্য পনির টিক্কা কাবাব, পালং শিক কাবাব রাখা হয়।
শীতের বিকেলে পার্কে বেড়াতে গিয়ে বা সন্ধ্যায় সিনেমা দেখে ফেরার পথে জিভে জল আনা কাবাব দেখে স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন অনেকেই। বিধাননগরের এমনই একটি স্টলে কাবাবের প্লেট হাতে দাঁড়িয়ে শর্মিলা রায় বলেন, ‘‘কলেজ থেকে ফিরে এই ঠান্ডায় বন্ধুদের সঙ্গে কাবাব খাওয়ার মজাই আলাদা!’’
কাবাবের দাপটের সামনে অবশ্য উড়ে যাচ্ছে না রোল বা পকোড়ারা। শপিংমলের সামনে হোক বা পাড়ার মোড়ে, সাবেক দোকান থেকে চলমান স্টলে বেশ বিকোচ্ছে নানা বিধ পকোড়া। চিকেন, ফুলকপি, বাঁধাকপি বা পনির, উড়ে যাচ্ছে সব রকমই।
ঠান্ডাকে কাবু করতে রসনাই যেন বাজি ভোজনরসিকদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy