Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

হরেক বিজ্ঞাপনে ঢেকেছে শহর

চোখ ধাঁধিয়ে যায় বিজ্ঞাপনে

কার্জন গেট লাগোয়া জিটি রোডে হরেক বিজ্ঞাপন। ছবি: উদিত সিংহ।

কার্জন গেট লাগোয়া জিটি রোডে হরেক বিজ্ঞাপন। ছবি: উদিত সিংহ।

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৫ ০০:০৮
Share: Save:

চোখ ধাঁধিয়ে যায় বিজ্ঞাপনে

শহরে ঢুকলেই সবার আগে নজরে আসে বিজ্ঞাপনের চমক। বিদ্যুতের খুঁটি, থেকে ফোনের খুঁটি এমনকী বাঁশ বেঁধেও বিজ্ঞাপন টাঙানো হয়। অনেক ব্যানার, ফ্লেক্সেই নানা অনুষ্ঠানের কথা থাকে। কিন্তু তারিখ পেরোনোর পরে, পুরনো হয়ে গেলে বা ঝড়ে ছিঁড়ে গেলেও তা খুলে ফেলা হয় না। প্রচার অবশ্যই প্রয়োজন। তবে তার সুষ্ঠু ব্যবহারও জরুরি। এছাড়া শহরের বহু অলিগলিতে ছোট বা মাঝারি উচ্চতার গাড়ি ঢুকলে অনর্থ বাধে। কারণ, কেবল বা ইন্টারনেটের তারের বিপজ্জনক ভাবে ঝুলতে থাকা। এতে বিদ্যুৎ বিপর্যয়েরও আশঙ্কা থাকে। শহরকে শিল্পসম্মত ও দৃষ্টিনন্দন করার দায়িত্ব তো শহরবাসীরও।

আশিস পাত্র গোপালনগর, বর্ধমান

জঞ্জাল সাফাই হোক সকালে

পাওয়ার হাউস মোড়ে যানজট।

আমি বর্ধমান পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বড়নীলপুরের বাসিন্দা। পাওয়ার হাউস পাড়ার মোড়ে পুরসভার একটি আর্বজনা ফেলার জায়গা আছে। কিন্তু পুরসভার কর্মীরা সকালে জঞ্জাল সাফাই না করে বেলা ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রাস্তা সাফাই করেন। ফলে এলাকায় প্রচণ্ড যানজট ও পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। পুরসভাও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। ফলে ভোগান্তি বাড়ছে।

সুদীপ্তকুমার রায় বড়নীলপুর, বর্ধমান

হারিয়েছে বাঁকা

প্রায়শই শোনা যায়, বর্ধমান ঐতিহাসিক শহর। তবে এই সব অভিধা এখন গভীর প্রশ্নের মুখে। বিজয় চাঁদ ও তেজচাঁদ বোধহয় এক অস্তমিত ইতিহাস। রাজতন্ত্রের যুগ পেরিয়ে আধুনিক যুগে পদার্পণ করে বর্ধমানের নব-রূপরেখা খুঁজতে বসলে, অপ্রাপ্তির ডালিখানি ক্রমান্বয়ে ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। কৃষিনির্ভর এই শহরে অনেক নতুন সমস্যা আমাদের দ্বারাই পূর্ণাবয়ব লাভ করেছে ,যা পরিকল্পনাতীত। নিকাশি ব্যবস্থার পথ সুপ্রশস্ত করতে গিয়ে শহরের একমাত্র বাঁকা নদী যে নান্দনিকতা বিকাশে নয়ন ভোলাতে পারত, সে এখন নিজের কাছেই চোখের বালি। নদীটির বুকে গড়ে ওঠা ঐতিহ্যবাহী সেতুগুলি একপ্রকার সময়ের কাছে আত্মসমর্পণ করে বসে আছে।

সৌমেন্দ্রমোহন পাঁজা বেকানন্দ কলেজ মোড়, বর্ধমান

পার্কে আলো চাই

শহরের প্রাণকেন্দ্রে জেলাখানা মোড়ের আর্কেড মলের সামনে বর্ধমান পুরসভা নির্মিত একটি ছোট পার্ক রয়েছে। সেখানে কবি নজরুলের একটি আবক্ষ মূর্তি রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরেই তা নিয়মিত সাফাই হয় না। গোড়ার দিকে আলো থাকলেও পরে বাতিস্তম্ভগুলি খারাপ হয়ে যায়। তারপর থেকে অন্ধকারেই পড়ে রয়েছে পার্ক ও সংলগ্ন এলাকা। এর সঙ্গে রয়েছে অপরিচ্ছন্নতা। হোর্ডিং, ব্যানার দিয়ে পার্কটিকে এমন ভাবে ঘিরে ফেলা হয়েছে যাতে দৃশ্যদূষণ তো হচ্ছেই, সঙ্গে অন্ধকার, নোংরা মিলে একটা গা ছমছমে পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমি চাই আলোর উপস্থিতি অন্ধকারকে হারিয়ে দিক।

শেখ সাবির হোসেন রসিকপুর, বর্ধমান

ট্রাফিক পোস্ট চাই

এ শহরে প্রতিদিন বাড়ছে যানজট। যানবাহন যেমন বাড়ছে, তেমনই শহরের মাঝে দ্রুতগতিতে যান চলা়য় দুর্ঘটনা বাড়ছে। পরিস্থিতি সামলাতে গুসকরায় দ্রুত ট্র্যাফিক পুলিশ ও সিগন্যাল চাই। গুসকরা রেল স্টেশন বাজার লাগোয়া এলাকায় দুর্ঘটনা ও যানজট লেগেই থাকে। ফুটপাথও দখলমুক্ত করা দরকার। এ ছাড়া রাতে বাতিস্তম্ভগুলোর আলো পর্যাপ্ত নয়। নিয়মিত দেখভাল হলে ভাল হয়।

আকাশ দে গুসকরা, বর্ধমান

কেমন লাগছে আমার শহর? নিজের শহর নিয়ে আরও কিছু বলার থাকলে ই-মেল পাঠান district@abp.in-এ।

ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানান: www.facebook.com/anandabazar.abp

অথবা চিঠি পাঠান ‘আমার শহর বর্ধমান’ বিভাগ, জেলা দফতর,

আনন্দবাজার পত্রিকা, ৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১ ঠিকানায়।

অন্য বিষয়গুলি:

Bardhaman Guskara park light power house
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE