এই নির্মাণ ঘিরেই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র।
দেবত্তর সম্পত্তির উপর বেআইনি ভাবে বাণিজ্যিক ভবন তৈরি হওয়াকে ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে গুসকরা পুরসভায়। স্থানীয় বাসিন্দা সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায় মহকুমা প্রশাসন থেকে রাজ্যের পুরমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে ওই বেআইনি ভবন তৈরি বন্ধ করার জন্য আবেদন করেছেন। পুর দফতরের উপসচিব গুসকরার তৃণমূল প্রধান ও মহকুমাশাসক গুসকরা পুরসভার নির্বাহী বাস্তুকারকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তারপরেও পুরসভার মদতে ওই বেআইনি নির্মাণ চলছে বলেই স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। যদিও পুরপ্রধান বুর্ধেন্দু রায় অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, বেআইনি বাণিজ্যিক ভবন তৈরির কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুনীলবাবুর অভিযোগ, গুসকরা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কমলনগর নদীপট্টি এলাকায় আনুমানিক পাঁচ হাজার বর্গ ফুটের একটি বাণিজ্যিক ভবন তৈরি হচ্ছে। ওই জমিটি দেবত্তর সম্পতি এবং রেকর্ড অনুযায়ী জমিটি শালি শ্রেণি ভুক্ত। তাঁর দাবি, এ ব্যাপারে পুরসভাকে বিস্তারিত জানালেও পুরকর্তারা নিশ্চুপ রয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, বিভিন্ন জায়গায় বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোনও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টে পুরসভা পরোক্ষে চাপ তৈরির চেষ্টা চালিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর।
কমলনগর নদীপট্টি বাসিন্দাদের একাংশেরও অভিযোগ, গত ১৪ জুন পুর কর্তৃপক্ষ তাঁদের ডেকে জানতে চেয়েছিলেন, জনবহুল এলাকায় বাণিজ্যিক ভবন হলে তাঁদের কোনও আপত্তি আছে কি না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, “আমরা ওই সভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলাম পুরোটাই আইনের ব্যাপার, সেখানে আমাদের আপত্তি থাকা বা না-থাকায় কোনও ফারাক নেই।” তাঁদের আরও অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় চিঠি করার পর কয়েক দিন ওই বাণিজ্যিক ভবন তৈরি বন্ধ ছিল, কিন্তু সভা হওয়ার পর থেকে নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। গুসকরা পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের মনোজ সাউয়ের অভিযোগ, “শহর জুড়ে পুর কর্তৃপক্ষের মদতে বেআইনি নির্মাণ হয়ে চলেছে।”
যদিও এই সব অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল পরিচালিত গুসকরা পুরপ্রধান বুর্ধেন্দু রায় বলেন, “আমি রীতিমতো নোটিস দিয়ে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। ওঁরা কাজ বন্ধ রেখে আমার কাছে এসেছিল, আমি পরিস্কার বলে দিয়েছি, আগে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করতে হবে, তারপর পুরসভা বাণিজ্যিক ভবন তৈরির অনুমতি দেবে।” তাঁর আরও দাবি, ‘‘যদি দেখি ফের নির্মাণ কাজ চলছে, তাহলে পুলিশে অভিযোগ করে বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy