—প্রতীকী চিত্র।
জামাই বাড়িতে থাকেন না। ভিন্ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। তাই পুজোয় মেয়ে ও নাতিকে আনতে গিয়েছিলেন বাবা। মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে রাত কাটিয়ে সকাল সকাল মেয়ে ও নাতিকে সঙ্গে করে ফিরবেন বাড়িতে, এমনই পরিকল্পনা ছিল। সকালের আলো ফোটার আগেই হইচইতে ঘুম ভেঙে যায়। ছুটে গিয়ে দেখেন, মেয়ের ঘরের দরজা বন্ধ। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই হতভম্ব বাবা! দেখেন, সিলিং থেকে ঝুলছে মেয়ের দেহ। শনিবার সকালে মুর্শিদাবাদের সালার থানার কাগ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতার নাম বিউটি মণ্ডল দাস (২৫)। বিউটির দাবি, তাঁর মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাড়ে তিন বছর আগে কাগ্রামের নিতাই দাসের সঙ্গে ভালবেসে বিয়ে হয় বিউটির। বিউটির বাপেরবাড়ি মুর্শিদাবাদের হরিগঞ্জ গ্রামে। তাঁদের একটি পুত্র সন্তান হয়। মৃতার বাবা শচীন মণ্ডল বলেন, ‘‘মেয়েকে কথায় কথায় মারধর ও মানসিক অত্যাচার করতেন নিতাই ও তাঁর বাড়ির লোকজন। বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার ভয় দেখানো হত। সেই সব অত্যাচার সহ্য করেও মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে পড়েছিল। মেয়েকে পুজোতে বাড়ি নিয়ে আসব বলে ঠিক করেছিলাম। সেই মতো শুক্রবার মেয়ের শ্বশুর বাড়ি যাই। সব কিছু শেষ হয়ে গেল।’’ মৃতার কাকাশ্বশুর গোপাল দাস বলেন, ‘‘ওদের সংসারে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত। আবার মিলও হত। কিন্তু, এমনটা হবে ভাবতে পারিনি।’’
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। এক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy