Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Unnatural death

পারিবারিক কলহের জের, স্ত্রী, শাশুড়িকে কুপিয়ে আত্মঘাতী স্বামী, শাশুড়ির মৃত্যু, আশঙ্কাজনক স্ত্রী

পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন স্ত্রী। এই অভিযোগে অশান্তি হত সোম এবং সুকতি সোরেনের। অশান্তি এতটাই যে, একসঙ্গে থাকতেনও না সোম-সুকতি। নতুন করে গোলমাল শুরু পরিবারিক একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে।

আদিবাসী পাড়ায় চলছে পুলিশের টহলদারি।

আদিবাসী পাড়ায় চলছে পুলিশের টহলদারি। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৪ ১২:০৭
Share: Save:

পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রী এবং শাশুড়িকে কুপিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ছোড়া গ্রামের আদিবাসী পাড়ায়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শাশুড়ির মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি স্ত্রী। সকালে আদিবাসী পাড়ার অনতিদূরে একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় স্বামীর নিথর দেহ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন স্ত্রী। এই অভিযোগে নিত্য অশান্তি হত সোম সোরেন এবং সুকতি সোরেনের। অশান্তি এতটাই যে, একসঙ্গে থাকতেন না সোম-সুকতি। নতুন করে গোলমাল শুরু হয় পরিবারের একজনের বিয়ের অনুষ্ঠানে। স্থানীয়দের দাবি, সুকতি তাঁর মাকে নিয়ে এক আত্মীয়ের বিয়েতে গিয়েছিলেন। সেখানে সোমও নিমন্ত্রিত ছিলেন। কিন্তু তিনি যাননি। রাতে যখন বিয়েবাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়েছেন, তখন ধারালো অস্ত্র নিয়ে সেখানে পৌঁছন সোম। যে ঘরে সুকতি এবং তাঁর মা ঘুমোচ্ছিলেন, সেখানে ঢুকে নির্বিচারে কোপাতে শুরু করেন তিনি। চিৎকারে আশপাশের ঘরের লোকজনের ঘুম ভেঙে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে সেখান থেকে চম্পট দেন সোম। দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেয় লুটিয়ে রয়েছেন সুকতি এবং তাঁর মা মুঙ্গুলি। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে বন নবগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মৃত্যু হয় ৬৫ বছরের মুঙ্গুলির। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই বন নবগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বর্ধমান মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করানো হয় সুকতিকে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বুধবার দিনের আলো ফুটতেই খবর পাওয়া যায়, আদিবাসী পাড়ার অনতিদূরে একটি গাছে ঝুলছে সোমের দেহ। পুলিশ এসে সোমের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দু’টি দেহই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গে। সেই রিপোর্ট হাতে আসার পর জানা যাবে, মৃত্যুর সঠিক কারণ কী ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder West Bengal Police Husband-Wife
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE