সৃজিকা চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র।
উচ্চ মাধ্যমিকেও রাজ্যের মেধাতালিকায় ঠাঁই হল না পশ্চিম বর্ধমান জেলার। তবে মাত্র এক নম্বরের জন্য প্রথম দশ থেকে ছিটকে গিয়েছে রানিগঞ্জের গান্ধী মেমোরিয়াল গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী সৃজিকা চক্রবর্তী। সে ৯৭.২ শতাংশ নম্বর পেয়ে জেলার মেধাতালিকায় প্রথম স্থানে হয়েছে।
এ বার জেলায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল ৯,৭২২ জন ছাত্র এবং ১২,৪৬৫ জন ছাত্রী। পাশ করেছে যথাক্রমে ৮,১৪১ এবং ১০,৩৯৫ জন। এই জেলায় সার্বিক পাশের হার ৮৩.৫৪ শতাংশ। পাশের হারে বিভিন্ন জেলার নিরিখে রাজ্যে শেষ দিক থেকে এই জেলা মাধ্যমিকে পঞ্চম হয়েছিল। উচ্চ মাধ্যমিকে সেখান থেকে নেমে শেষ দিক থেকে দ্বিতীয়।
এমন ফলাফলের জন্য বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ নানা কারণ তুলে ধরেছেন। তার মধ্যে অন্যতম শিক্ষকের ঘাটতি। দ্বিতীয়ত: আসানসোল ও দুর্গাপুরে বহু নামকরা দিল্লি মাধ্যম স্কুল রয়েছে। অভিভাবকেরা সেই সব স্কুলে ছেলেমেয়েদের পড়াচ্ছেন। তৃতীয়ত: সরকার পোষিত স্কুলের পড়ুয়াদের অনেকে আসে আর্থিক দিত থেকে পিছিয়ে থাকা পরিবার থেকে। ফলে, নিয়মিত স্কুলে না আসা-সহ নানা কারণে পড়াশোনায় তারা পিছিয়ে পড়ে। চতুর্থত: বর্তমান সময়ে পড়ুয়াদের মধ্যে মোবাইলে আসক্তি বেড়েছে। পড়াশোনায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে দাবি শিক্ষকদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুর্গাপুরের একাধিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা বলেন, “শিক্ষকের অভাব একটা বড় সমস্যা। কোনও রকমে পঠনপাঠন চালিয়ে নিতে হচ্ছে। মাঝে মাঝেই অনুপস্থিত পড়ুয়াদের বাড়ি গিয়ে তাদের স্কুলে আনার চেষ্টা করা হয়।”
এ সবের মধ্যে জেলার মান রক্ষা করেছে সৃজিকা। রানিগঞ্জের অশোকপল্লির বাসিন্দা সৃজিকার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৬। সৃজিকার স্বপ্ন ইংরেজির অধ্যাপক হওয়ার। সে গান শুনতে, গল্প পড়তে ভালবাসে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাকাবাবু ও কিরীটী অমনিবাস তার প্রিয়। পেশায় ব্যবসায়ী বাবা সুজন চক্রবর্তী ও গৃহবধূ মা কাবেরী চক্রবর্তী জানান, মাধ্যমিকে মেয়ে স্কুলে দ্বিতীয় হয়েছিল। এ বার তা অনেকটাই ছাপিয়ে গেল। মেয়ের স্বপ্ন পূরণ হলে তাঁরা খুশি হবেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছবি দে বলেন, “এক নম্বরের জন্য দশম হতে পারেনি সৃজিকা।তবে জেলায় প্রথম হয়ে স্কুলের মান অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে সে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy