ঝড়ের তাণ্ডবে। একটি বেসরকারি মোবাইল সংস্থার টাওয়ার ভেঙে পড়ল ট্রাকের উপরে। বর্ধমানের পানাগড়ে। — নিজস্ব চিত্র
কোথাও উড়ে গিয়েছে বাড়ির চাল। আবার কোথাও ভেঙে পড়েছে মোবাইলের টাওয়ার। সোমবারের ঝড়ের পরে কাঁকসা-বুদবুদ এলাকায় পড়ে গিয়েছে বহু মাটির বাড়িও। ২৪ ঘণ্টা পরেও বিদ্যুৎহীন গোটা এলাকা। বিদ্যুতের অভাবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জল সরবরাহও বন্ধ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে পৌঁছেছে প্রশাসনের দল।
কাঁকসা ব্লকের বেশির ভাগ গ্রামেই কমবেশি ক্ষতি হয়েছে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। কাঁকসায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বনকাটি, কাঁকসা ও গোপালপুর পঞ্চায়েত এলাকা। ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েত এলাকাতেও বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ছ’শোরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু বাড়ি নয়, ভেঙে পড়েছে প্রচুর গাছ। কাঁকসা ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বনকাটির বনগ্রাম, নিমটিকুড়ি, অযোধ্যা ইত্যাদি গ্রামে ভাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সোমবার রাত থেকে দুর্গতদের ত্রিপল পৌঁছে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে প্রশাসনের দল খাবার, জামাকাপড় পৌঁছে দেয়। কাঁকসার ত্রিলোকচন্দ্রপুর গ্রামের কাছে পানাগড়-মোরগ্রাম জাতীয় সড়কের উপর ভেঙে পড়েছে একটি বেসরকারি মোবাইল সংস্থার টাওয়ার। সেটি ঝড়ের সময়ে রাস্তায় একটি লরির উপরে পড়ে যায়। কাঁকসা ব্লক অফিসেও একটি টাওয়ার ভেঙে পড়েছে ঝড়ের দাপটে।
বুদবুদ, আউশগ্রামেও ঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বহু মানুষ। আউশগ্রাম ২ বিডিও দীপ্তিময় দাস জানান, বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ক্ষয়ক্ষতির নানা খবর আসছে। প্রশাসনের তরফে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বুদবুদেরও বহু এলাকায় ঝড়ের তাণ্ডবে বেশ কিছু বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ফতেপুর গ্রামে একটি বাড়ি পড়ে বেশ কিছু গবাদি পশু মারা গিয়েছে। ঝড়ের পরে কাঁকসা, বুদবুদ ও আউশগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা মঙ্গলবারও দিনভর বিদ্যুৎহীন থাকে। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার পানাগড় অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৩০টি বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গিয়েছে। বহু জায়গায় তার ছিঁড়ে গিয়েছে। সংস্থার এক আধিকারিক জানান, দ্রুততার সঙ্গে কাজ চলছে।
টানা বিদ্যুৎ না থাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জল সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। কাঁকসার বড় অংশে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর পানীয় জল সরবরাহ করে। তা এ দিন বন্ধ থাকায় মানুষজন বিপাকে পড়েন। বাড়ির পাম্পগুলিও বিদ্যুতের অভাবে কাজ না করায় মুশিকল বেড়েছে। কোনও মতে কুয়ো বা নলকূপ থেকে জল নিয়ে সমস্যা মেটাচ্ছেন বলে জানান বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy