Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

গোড়াতেই হয়ে যাবে রোগ নির্ণয়

উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র হচ্ছে ‘সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র’। কী ভাবে হবে তা, তা হলে সুবিধা কী কী মিলবে— এ বিষয়ে কী মত স্বাস্থ্যকর্তা থেকে নানা এলাকার বাসিন্দাদের, খোঁজ নিল আনন্দবাজারজেলায় প্রথম স্তরে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি ও দ্বিতীয় স্তরে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে ‘সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র’ হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

সৌমেন দত্ত
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:১১
Share: Save:

সাধারণ নানা রোগ, টিকাকরণের পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, এমনকি ক্যানসার নির্ণয়েরও ব্যবস্থা হচ্ছে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে। স্বাস্থ্য দফতর জানায়, তৈরি হচ্ছে ‘স্বাস্থ্য ও নিরাময় কেন্দ্র’। এগুলির পোশাকি নাম, ‘সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র।’ স্বাস্থ্যকর্তাদের আশা, এর ফলে প্রাথমিক স্তরেই রোগ নির্ণয় হবে। বাড়বে সচেতনতাও।

জেলায় প্রথম স্তরে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি ও দ্বিতীয় স্তরে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে ‘সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র’ হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে। জেলায় রয়েছে ৫৯২টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র। প্রথম তিনটি পর্যায়ে যথাক্রমে ১৮, ৩৯ ও ৫৫টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে এবং ৬৪টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ৫৫টিকে সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র হিসেবে তৈরি করা হবে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানায়, ইতিমধ্যেই ১৮টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ‘সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র’ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে। তৃতীয় পর্যায়ের অনুমোদন মিলেছে।

সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রেগুলি কী ভাবে কাজ করবে? স্বাস্থ্য দফতর জানায়, পাঁচ হাজার জনসংখ্যা পিছু একটি করে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হয়েছে। সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র হিসেবে সেগুলিকে ঝাঁ চকচকে করে গ্রামীণ এলাকায় ‘রোগ-প্রতিরোধ’ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা চলছে। সেই লক্ষ্যে নার্সদের ছ’মাসের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে ‘কমিউনিটি হেল্থ অফিসার’ হিসেবে তাঁদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে থাকছেন দু’জন প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী, পাঁচ জন আশাকর্মী। সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে কোনও চিকিৎসক থাকছেন না। প্রশিক্ষিত নার্সেরাই নিয়মিত ভাবে গ্রামের মানুষদের পরীক্ষা করে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, হৃদরোগ, ‘সার্ভাইকাল’, স্তন ক্যানসারও নির্ণয় করবেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) প্রণব রায় বলেন, “এ ভাবে রোগ নির্ণয় প্রথম ধাপে হয়ে গেলে চিকিৎসা করা সহজ হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসকেরা থাকবেন। সেখানে প্যাথলজ়িক্যাল পরীক্ষা নিয়মিত ভাবে করা যায়।’’ চিকিৎসকেরাও মনে করছেন, মহকুমা ও জেলার হাসপাতালগুলিতে রোগীর চাপ কমাতে প্রাথমিক স্তরে ওই সব রোগ নির্ণয় ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রয়োজন।

যে পথে পরিকল্পনা

• ধাপে ধাপে ৫৯২টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র হবে সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র।
• এগুলির পরিচালক নার্সেরাই।
• প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকবেন ডাক্তার।
• সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রে নির্ণয় হবে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, এমনকি বিশেষ ধরনের কিছু ক্যানসারও।
• করানো হবে যোগাসন, ফিজিওথেরাপি।

রোগ নির্ণয়ের পরে সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্সেরা রিপোর্ট তৈরি করবেন। তা দেখে নার্সেরা যোগাসন, ফিজিওথেরাপির ব্যবস্থা করবেন। প্রয়োজনে পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে রোগীকে ঠিক দিশা দেখাবেন তাঁরা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানায়, ‘সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য গড়ে সাত লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। তা থেকেই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবনগুলির সংস্কার করা হচ্ছে।

এখন জেলার নানা প্রান্তের বাসিন্দারা তাকিয়ে, কী ভাবে এবং কী কী সুবিধা মিলবে এই সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে।

অন্য বিষয়গুলি:

Health Cancer Health Centres
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy