টাঙানো হয়েছে এমনই ফ্লেক্স। নিজস্ব চিত্র
টেরাকোটার মন্দিরের টানে প্রতি বছরই কালনা শহরে আসেন পর্যটকেরা। সচেতনতার অভাবে মন্দিরের সূক্ষ্ম কাজে হাত দেওয়া, হেলান দিয়ে ছবি তোলা এমনকি, কারুকাজ নষ্ট করারও অভিযোগও ওঠে। বেশ কিছু কাজ নষ্টও হয়ে গিয়েছে। মন্দির রক্ষায় সম্প্রতি দেওয়ালে হাত দেওয়া নিষিদ্ধ করেছে পুরাতত্ত্ব বিভাগ। মন্দিরগুলির সামনে ফ্লেক্স টাঙিয়ে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে সে কথা।
কালনার প্রতাপেশ্বর মন্দির, লালজি মন্দির, কৃষ্ণচন্দ্র মন্দির, গোপালবাড়ির মতো মন্দিরগুলিতে রয়েছে টেরাকোটার কাজ। সব থেকে কারুকাজ রয়েছে প্রতাপেশ্বর মন্দিরে। এই মন্দিরের গায়ে বহু প্রাচীন দেবদেবী এবং বিভিন্ন ধরনের মূর্তি খোদাই করা রয়েছে। অতীতে মার্কিন কনসুলেট জেনারেল থেকে শুরু করে বহু বিখ্যাত মানুষ এই মন্দিরের প্রশংসাও করে গিয়েছেন। কয়েক বছর আগে প্রতাপেশ্বর মন্দিরে সিনেমার শুটিং করেছেন অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরও। কিন্তু সেখানেও বেশ কিছু কাজ মানুষের হাতের ক্রমাগত স্পর্শে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মন্দিরের কিছু জায়গায় মেরামত করে ছোট ছোট টালিও বসিয়ে দিয়েছে ওই বিভাগ। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘টেরাকোটার মবর্তি নষ্ট হয়ে গেলে আমরা আর তৈরি করতে পারি না। তাই টালি বসিয়ে দেওয়া হয়।’’
পুরাতত্ত্ব বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছে কালনার মন্দিরগুলিতে টেরাকোটার মূর্তি দ্রুত নষ্ট হওয়ার কারণ পর্যটকদের তাতে লাগাতার স্পর্শ করা। অনেকেই হাত দিয়ে কারুকার্যগুলি দীর্ঘসময় ধরে দেখেন। সারাদিন অজস্র পর্যটক মন্দিরের গায়ে হেলান দিয়ে ছবি তোলেন। ফলে ঘাম লেগে যায় মন্দিরের গায়ে। সেই সমস্ত কারণেই মন্দিরের নীচের অংশের কাজ মূলত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি ওই বিভাগের কলকাতা সার্কেলের সুপারিন্টেন্ডেন্ট শুভ্র মজুমদার মন্দিরগুলি পরিদর্শন করার পরে বিষয়টি নজরে আসে। তার পরেই নির্দেশিকা জারি করা হয়। পুরাতত্ত্ব বিভাগের কালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক গঙ্গা দাস জানান, বিষ্ণুপুরে সমস্ত টেরাকোটার মন্দিরে সিঁড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যাতে উপরে উঠে কেউ তা নষ্ট করতে না পারে। কালনার মন্দিরগুলিতে তা করা যায়নি। কারণ, এখানে পুজার্চনা হয়। তাই হাত না দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy