রাস্তা সম্প্রসারণের শিলান্যাস
দাবি উঠছিল দীর্ঘ দিন ধরেই। শেষমেশ জিটি রোড সংস্কার ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের শিলান্যাস হল আসানসোলে। রবিবার শহরের মুর্গাসোলে এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছিলেন আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।
এলাকার ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোগীরা দীর্ঘদিন ধরেই জিটি রোডের সংস্কার ও সম্প্রসারণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। দাবি উঠছিল বাস ও মিনিবাস মালিকদের সংগঠনগুলির তরফেও। রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও বারবার আন্দোলন করেছে। রবিবার প্রকল্পের শিলান্যাস পর্বে মন্ত্রী মলয়বাবু বলেন, ‘‘শিল্পাঞ্চলবাসীর চাহিদা ও সমস্যার কথা মাথায় রেখেই এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছে।’’
পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোলের কালিপাহাড়ি থেকে বরাকর পর্যন্ত জিটি রোডের সংস্কার ও সম্প্রসারণ হবে। সে জন্য ৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দফতরের এক আধিকারিক জানান, পুরসভা নির্বাচনের জন্য এই কাজ যাতে আটকে না যায় তা নিশ্চিত করতে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।
কালিপাহাড়ি থেকে বরাকর পর্যন্ত নানা অঞ্চলে জিটি রোডের দু’পাশে সরকারি জমি দখল করে অসংখ্য নির্মাণ হয়েছে বলে অভিযোগ। কিছু জায়গায় পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, পথচারীদের বড় রাস্তার উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। অনেক জায়গায় আবার বাসযাত্রীদের দাঁড়ানোর জায়গা দখল করে স্থায়ী নির্মাণ হয়েছে। জিটি রোডে দুর্ঘটনার সংখ্যাও দিন-দিন বাড়ছে। সম্প্রতি মিনিবাস মালিকদের সংগঠনের তরফে প্রশাসনের কাছে রাস্তা সংস্কারের পাশাপাশি জিটি রোডের দু’পাশের কিছুটা অংশ ফাঁকা রাখার আবেদন জানানো হয়। সংগঠনের সম্পাদক সুদীপ রায় বলেন, ‘‘বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে রাস্তার পাশেও নেমে যেতে পারেন না।’’
স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয়বাবু অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন, জিটি রোডের দু’পাশে দখল করে রাখা জমি পুনরুদ্ধার করে রাস্তা সংস্কার ও সম্প্রসারণ হবে। রবিবার তিনি জানান, রাস্তা সংস্কার ও সম্প্রসারণে যাতে কোনও রকম বাধা না আসে, তা কঠোর ভাবে দেখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy