ডাম্পারের ধাক্কায় দুমড়ে যায় এই গাড়িটি। কাটোয়ায়। নিজস্ব চিত্র
ঘাস কাটার পরে রাস্তার পাশে বাবলা গাছের নীচে বসে মুড়ি খাচ্ছিলেন প্রৌঢ়া। আচমকা ডাম্পারের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল তাঁর দেহ। তাঁকে ধাক্কা মারার পরে উল্টো দিক থেকে আসা একটি গাড়িতেও ধাক্কা মারে নিয়ন্ত্রণ হারানো ডাম্পারটি। আহত হন পাঁচ জন। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে কাটোয়ার জগদানন্দপুরে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন দুপুর সাড়ে ১১টা নাগাদ এসটিকেকে রোডের জগদানন্দপুর ও পাইকপাড়ার মাঝে ঘাস কেটে ফিরে বসেছিলেন জগদানন্দপুরের কালীতলাপাড়ার বাসিন্দা শঙ্করী সাঁতরা (৫২)। কাটোয়া থেকে নবদ্বীপগামী ডাম্পারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে তাঁকে। দেহ থেকে মাথা আলাদা হয়ে যায়। তখনই মুস্থুলি থেকে কাটোয়ার দিকে আসছিল একটি গাড়ি। ডাম্পারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় সেটির। আহত হন এক শিশু-সহ গাড়ির পাঁচ যাত্রী। তাঁরা কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কাটোয়া কলেজপাড়ার বাসিন্দা, বছর তেরোর ভাস্কর নন্দী জানায়, মুস্থুলিতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে পুজোর জামাকাপড় দিতে গিয়েছিলেন বাড়ির লোকজন। ফেরার সময়েই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ির চালক দেবকীনন্দন দাস বলেন, ‘‘ডাম্পারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধেয়ে আসছিল। তা দেখে পাশ কাটিয়ে যেতে গেলেই সেটি আমাদের গাড়িতে ধাক্কা মারে।’’ ভাস্করের মা শ্রাবন্তী নন্দী, বাবা বিজয়নারায়ণ নন্দী আহত হয়েছেন। জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ভাস্করের বড়মামা মৃগাঙ্কনারায়ণ দাস, তাঁর স্ত্রী মন্দিরাদেবী ও তাঁদের বছর চারের ছেলে অর্ঘ্যজ্যোতি দাস।
ঘটনার পরেই শঙ্করীদেবীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে আধ ঘণ্টা এসটিকেকে রোড অবরোধ করেন জগদানন্দপুরের বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, এসটিকেকে রোডে মুস্থুলি মোড়ে বাঁক থাকায় গাড়ি দেখা যায় না। ফলে, প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। মাস তিনেক আগে ওই মোড়েই লরির ধাক্কায় এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছিল। এ দিন পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলে। ডাম্পারটি আটক করা হয়। তবে চালক পলাতক। শঙ্করীদেবীর বাড়ির লোকজন কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy