Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Job

২০ বছর বোনের চাকরি করছেন! ভাতারে বিডিও অফিসে ধরা পড়লেন ৭০ বছরের দিদি, শোরগোল

ভাতারের কাশীপুর গ্রামে বাড়ি সঙ্গীতা চট্টোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার তিনি বিডিও অফিসে গিয়েছিলেন। কিন্তু আধিকারিকরা তাঁর কাছে ওই চাকরি সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

Elder Sister is allegedly doing her sister’s job in shishu shiksha Kendra in Bhatar

বিডিও অফিসে সেই শিক্ষিকা। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ভাতার শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৫৭
Share: Save:

শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে নিয়োগ করা হয়েছিল বোনকে। কিন্তু তাঁর বদলে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চাকরি করছেন দিদি। অনলাইনে তথ্য নথিভুক্তের সময় চাকরিতে বেনিয়মের হদিশ মিলল পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। তাই নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতর। অন্য দিকে, অভিযুক্তার বিরুদ্ধে মামলার কথা ভাবছে প্রশাসন।

প্রশাসনের একটি সূত্রে খবর, ভাতারের সাহেবগঞ্জ-১ পঞ্চায়েতের নুনাডাঙা শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষিকা হিসাবে নিযুক্ত হন সুজাতা চট্টোপাধ্যায়। সেটা প্রায় ২০ বছর আগে। সুজতার বয়স এখন ৫৯ ছুঁইছুই। অভিযোগ, তাঁর বদলে এত দিন ধরে চাকরি করছিলেন দিদি সঙ্গীতা ভট্টাচার্য। ৭০ বছরের ওই বৃদ্ধা বোনের চাকরি করতেন এবং তাঁর বেতনের টাকা তুলে আসছেন। সম্প্রতি একটি কাজে বিডিও অফিস গিয়েছিলেন সঙ্গীতা। সেখানেই ধরা পড়ে এই অনিয়ম। তার পরই শুরু হয়েছে শোরগোল। ভাতারের বিডিও অরুণকুমার বিশ্বাসের কথায়, ‘‘এখন সরকারি কাজকর্মে ‘আপগ্রেডেশন’ চলছে। অনলাইনে নথিভুক্তকরণের সময় সাহেবগঞ্জ-১ অঞ্চলের শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের কর্মীর তথ্যে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, এক জনের নামে নিয়োগ হলেও চাকরি করে আসছিলেন অন্য জন। তাঁকে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বিষয়টি আরও এক বার খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে অভিযুক্তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে।’’

ভাতারের কাশীপুর গ্রামে বাড়ি সঙ্গীতার। মঙ্গলবার তিনি বিডিও অফিসে গিয়েছিলেন। কিন্তু আধিকারিকরা তাঁর কাছে ওই চাকরি সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় কয়েকজন তাঁকে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ নিয়ে ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বাসুদেব যশ বলেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি, ২০০৪ সালে ওই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে নিয়োগ করা হয় সুজাতা চট্টোপাধ্যায় নামে এক মহিলাকে। এখনও সরকারি খাতায় তিনিই ওই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে কাজ করছেন। এত দিন কেউ বিষয়টি জানতsv না। এখন প্রশাসনিক তদন্তে ধরা পড়েছে, তাঁর নামে বেতন তুলে যাচ্ছেন শিক্ষিকার দিদি। তদন্ত চলছে। প্রশাসন নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে।’’ তিনি আঙুল তোলেন পূর্বতন বাম সরকারের দিকে। বাসুদেব বলেন, ‘‘সিপিএম আমলেই এই অনিয়ম হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।’’

অন্য দিকে, সুজাতা এ নিয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রশাসন বলে দিলে আমি আর কাজ করব না।’’ এ নিয়ে কোনও কথা বলতে নারাজ তাঁর দিদি সঙ্গীতাও।

অন্য বিষয়গুলি:

Job Bhatar BDO office Bardhaman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy