Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪

স্তন্যদানের জন্য তৈরি ‘স্নেহনীড়’

বিধায়কের দায়িত্ব এবং সদ্যোজাতের প্রতি মায়ের কর্তৃব্য একসঙ্গে চালিয়ে যেতে বিধানসভার কাছে ‘ফিডিং রুম’ (স্তন্যদানের ঘর) চেয়েছিলেন অসমের বিধায়ক আঙুরলতা ডেকা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৯ ০২:৩৯
Share: Save:

মাতৃদুগ্ধের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সচেতন করা হয় সবসময়। কিন্তু বাইরে কাজে বেরিয়ে চক্ষুলজ্জায় অনেকেই সন্তানের সেই প্রয়োজন মেটাতে পারেন না। তাঁদের জন্যই আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন।

বিধায়কের দায়িত্ব এবং সদ্যোজাতের প্রতি মায়ের কর্তৃব্য একসঙ্গে চালিয়ে যেতে বিধানসভার কাছে ‘ফিডিং রুম’ (স্তন্যদানের ঘর) চেয়েছিলেন অসমের বিধায়ক আঙুরলতা ডেকা।

মার্কিন মডেল মারা মার্টিন শিশুকে শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করাতে করাতেই হাঁটেন র‌্যাম্পে।

খবরের শিরোনামে এমন ঘটনা উঠে আসলেও এ রাজ্যের অনেক জায়গাতেই প্রয়োজনে শিশুকে স্তন্যদান করানোর জায়গা খুঁজে পান না মায়েরা। শিশু কাঁদতে শুরু করলেও আগে খুঁজতে হয় আড়াল, আবডাল। সম্প্রতি কলকাতার সাউথ সিটি মলে সন্তানকে স্তন্যদান করানোয় আপত্তিও তুলেছিলেন নিরাপত্তাকর্মী। তবে নারী দিবসের আগে মা ও শিশুদের ‘স্নেহনীড়’ দিল জেলা প্রশাসন।

জেলাশাসকের দফতরের সামনে ছ’তলা নতুন ভবনের (আরটিএ অফিস বলে পরিচিত) একতলায় আধুনিক মানের একটি ঘর তৈরি করা হয়েছে। আজ, শুক্রবার উদ্বোধন হবে তার। জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, “প্রতিদিন অসংখ্য মায়েরা তাঁদের সদ্যোজাত সন্তানদের নিয়ে নানা কাজে আসেন। তাঁরা যাতে সন্তানদের মাতৃদুগ্ধ পান করাতে পারেন সে জন্যেই এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। মহকুমা থেকে ব্লক প্রতিটি দফতরেই এই প্রকল্পে ঘর তৈরির নির্দেশ দেওয়া হবে।’’ হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও এমন ঘর বরাদ্দ হওয়া উচিত বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা।

জেলা প্রশাসনের দফতরে নানা কাজে আউশগ্রাম থেকে সদ্যোজাতকে নিয়েই আসেন তনুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “কখনও গাছের আড়ালে বা গাড়ির আড়ালে লুকিয়ে দুধ খাওয়াতে হত। আর অসুবিধা হবে না।’’ দফতরের অনেক মহিলা কর্মীরও একই কথা। হাটগোবিন্দপুর ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নিরুপমা গোস্বামী বলেন, “এটা অত্যন্ত জরুরি পদক্ষেপ। মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের জন্য নানা কাজ করছেন। সে পথে হাঁটল জেলাও।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE