তৈরি হচ্ছে রাধানগর অ্যাথলেটিক ক্লাবের মণ্ডপ। নিজস্ব চিত্র।
কোনও মণ্ডপে বাংলার কুটির শিল্পের ছোঁয়া, কোথাও বা আবার এক ঝলক রাজস্থান, গুজরাতের ঝলক— এমনই বিভিন্ন থিমে সেজে উঠছে বার্নপুরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ। কেউ কেউ আবার আবার থিম নয়, দর্শক টানতে ভরসা রাখছেন সাবেক-শিল্পের উপরেই।
বার্নপুরের নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবের এ বারের থিম, ‘বঙ্গভূমের কুটির শিল্প।’ উদ্যোক্তারা জানান, মণ্ডপ-সজ্জায় ১০ হাজার বেতের ঝুড়ি দিয়ে কালী ও কৃষ্ণের দশাবতারের বিভিন্ন রূপ ফুটিয়ে তোলা হবে। চমক থাকছে প্রতিমা ও আলোক-সজ্জাতেও।
এই মণ্ডপে ঢুকে পড়লে দর্শক যেন হঠাৎ দেখা পাবেন কৈলাসের। অন্যদের টেক্কা দিতে ‘কৈলাসে বিরাজে দুর্গা’ থিমই রামবাঁধ ফ্রেন্ড ক্লাবের এ বারের বাজি। মূলত বাঁশ, চট, খড় আর প্লাস্টার অফ প্যারিস দিয়ে তৈরি হয়েছে পাহাড়ি গুহা। মণ্ডপের ভিতরে থাকছে বিশাল প্রাচীন বৃক্ষের মডেল। সেখানেই থাকবে দেবী প্রতিমা। উদ্যোক্তাদের দাবি, মণ্ডপ-শৈলির অভিনবত্ব দর্শকের নজর কাড়বেই।
দর্শকদের গ্রাম-বাংলার প্ররিবেশ ফিরিয়ে দিতে চেয়েছেন বার্নপুরের এবি টাইপ পুজো কমিটির সদস্যরা। তাদের এ বারের থিম ‘তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে।’ এই মণ্ডপে ঢুকে পড়লে দেখা মিলবে মাটির দাওয়া, খড়ের চালের বাড়িগুলির। কোথাও বা ছোট্ট এক চিলতে ডোবায় চরে বেড়াচ্ছে হাঁস। উদ্যোক্তাদের দাবি, মণ্ডপ-সজ্জায় মূলত বাঁশ ও মাটি ব্যবহার করা হয়েছে।
গ্রাম-বাংলা ঘুরে ভিন্ রাজ্যেও পাড়ি দিতে চাইলে দর্শকেরা ঢুঁ দিতে পারেন রাধানগর অ্যাথলেটিক ক্লাবের পুজো মণ্ডপে। এখানে দিনরাত এক করে কাল্পনিক মন্দিরের ভিতরে রাজস্থান ও গুজরাতের বিভিন্ন শিল্পকর্মগুলি ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। জংলি ফল, খড়ের দড়ি, প্লাইউড, প্লাস্টার অফ প্যারিস দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ।
বার্নপুরে অন্য তিনটি বড় বাজেটের পুজোতেও এ বারে থিমের বদলে জোর দেওয়া হয়েছে ঐতিহ্যে। শহরের ৮ নম্বর এলাকার লালা লাজপত নবযুবক সঙ্ঘের মণ্ডপে রয়েছে কাল্পনিক মন্দিরের আদল। উদ্যোক্তাদের দাবি, মণ্ডপের কারুশিল্প দর্শকদের ভাল লাগবে। খড়ের মণ্ডপ বানিয়ে শহরবাসীকে তাক লাগিয়ে দিতে চান নওজওয়ান ক্লাব সর্বজনীন পুজো কমিটি। উদ্যোক্তারা জানান, থিম নয়, এ বার তাঁরা জোর দিয়েছেন বাংলার কুটির শিল্পের উপরে। মণ্ডপের সঙ্গে সঙ্গত রেখে তৈরি হয়েছে সাবেক প্রতিমাও। ১০ নম্বর গেটের বৈশালী সর্বজনীন পুজো কমিটিও এ বার থিমের আশ্রয় নেননি। তবে শিল্পীদের নিপুন কর্মশৈলী দর্শকদের ভাল লাগবে বলে উদ্যোক্তাদের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy