Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

কার্ড আছে, কেরোসিন পায় না দু’লক্ষ পরিবার

রেশন ডিলারদের রাজ্যের সবচেয়ে বড় সংগঠন ‘ওয়েস্টবেঙ্গল এম আর ডিলার্স’ অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, এ জেলায় ২ লক্ষ ২২ হাজার ৫৬৪টি পরিবার প্রাপ্য কেরোসিন পাচ্ছেন না।

সৌমেন দত্ত
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:০৫
Share: Save:

ডিজিটাল কার্ড রয়েছে, অথচ কেরোসিন পান না জেলার একটা বড় অংশের মানুষ। বিরোধীরা এ নিয়ে বারবার অভিযোগ করেছেন। ভোটের মুখে এ নিয়ে সরব হল তৃণমূলও। বিভিন্ন পাড়া-বৈঠকে রেশন নিয়ে কেন্দ্র সরকারের নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, ডিজিটাল কার্ডে প্রাপ্য কেরোসিন তেল উপভোক্তাদের দিতে হবে।

খাদ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারির পরে যে সব উপভোক্তা ডিজিটাল কার্ড পেয়েছেন, তাঁরা প্রাপ্য কেরোসিন তেল পাচ্ছেন না। রেশন ডিলারদের রাজ্যের সবচেয়ে বড় সংগঠন ‘ওয়েস্টবেঙ্গল এম আর ডিলার্স’ অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, এ জেলায় ২ লক্ষ ২২ হাজার ৫৬৪টি পরিবার প্রাপ্য কেরোসিন পাচ্ছেন না। এ ছাড়া জেলায় এখনও ৪৫ হাজার ৬৭২টি পরিবারের ডিজিটাল কার্ড হয়নি। ফলে তাঁরাও সুবিধা পাচ্ছেন না। ওই সংগঠনের সম্পাদক পরেশনাথ হাজরার দাবি, “একই জায়গায় পৃথক ফল হচ্ছে বলে উপভোক্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়াচ্ছে। রেশন ডিলারদেরও কেরোসিন দিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এ নিয়ে আমরা কিছু দিন আগে খাদ্য দফতরে চিঠি দিয়েছি।’’

খাদ্য দফতরের দাবি, ডিজিটাল রেশন কার্ডে একটি পরিবার মাসে ৬০০ মিলিলিটার পর্যন্ত কেরোসিন তেল পান। কিন্তু ওই কার্ড থাকার পরেও জেলার দু’লক্ষেরও বেশি পরিবার প্রাপ্য কেরোসিন পাচ্ছেন না। তাঁদের পুরনো কার্ডের জন্যে মাসে ১৫০ মিলিলিটার করে কেরোসিন তেল বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ একটি পরিবার প্রতি মাসে ৪৫০ মিলিলিটার তেল কম পাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন রেশন ডিলারের দাবি, “একই পরিবার বা একই পাড়ার বাসিন্দারা এক সঙ্গে কেরোসিন নিতে আসছেন। দেখা যাচ্ছে, পাঁচ জনের মধ্যে তিন জন ৬০০ মিলিলিটার তেল পাচ্ছেন। বাকি দু’জন ১৫০ মিলিলিটার করে তেল পাচ্ছেন। এতে আমাদের খুব অসুবিধা হচ্ছে।’’

সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য উদয় সরকারের অভিযোগ, “কেন্দ্র ও রাজ্য—উভয়েই গণবন্টন ব্যবস্থা নিয়ে উদাসীন। সে জন্য বিধানসভার গণবন্টন বিষয়ক স্থায়ী সমিতির বৈঠকের পরেও উপভোক্তাদের প্রাপ্য মেটানোর ব্যবস্থা হয় না।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথের দাবি, “কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনার জন্যেই উপভোক্তারা প্রাপ্য কেরোসিন পাচ্ছেন না। রাজ্য সরকার সেই সমস্যার কিছুটা হলেও সুরাহা করেছে।’’

জেলা খাদ্য নিয়ামক দেবমাল্য বসু বলেন, “ডিজিটাল কার্ডের উপভোক্তারা যাতে প্রাপ্য কেরোসিন পান, সে জন্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বারবার চিঠি করা হয়েছে। অনুমোদন এলে উপভোক্তাদের প্রাপ্য কেরোসিন দেওয়া হবে।’’ তবে তার আগে পর্যন্ত পুরনো কার্ডে ১৫০ মিলিলিটার তেলই ভবিতব্য উপভোক্তাদের।

অন্য বিষয়গুলি:

Digital Ration Card Kerosine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE