স্টেশনে ভিড় যাত্রীদের । নিজস্ব চিত্র
ট্রেন বাতিলের ফলে সপ্তাহের গোড়াতেই দুর্ভোগে পড়লেন যাত্রীরা। বর্ধমান-হাওড়া লাইনের কর্ড ও মেন শাখায় ট্রেন কম থাকায়, অন্য ট্রেনগুলিতে ভিড়ে ঠাসা ছবি দেখা গেল সোমবার। ট্রেন ধরতে না পেরে অনেকে বাসে গন্তব্যস্থলে গিয়েছেন। আবার বর্ধমান-কাটোয়া শাখায় এ দিন ট্রেন কর্জনা থেকে যাতায়াত করেছে। ফলে, ওই রুটের বাসে কার্যত বাদুড়ঝোলা ভিড় দেখা গিয়েছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, “বর্ধমানে পুরনো রেল উড়ালপুল ভাঙার জন্য বেশ কিছু ট্রেন বাতিল এবং দূরপাল্লার ট্রেনের রুট পরিবর্তন করতে হয়েছে। বেশ কিছু বিশেষ ট্রেন দেওয়াও হয়েছে।’’
২৬ জানু্য়ারি থেকে ট্রেন বাতিল শুরু হয়েছে। ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ট্রেন বাতিল, রুট পরিবর্তনের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে রেল। রবিবার পর্যন্ত বর্ধমান-হাওড়া লাইনের মেন ও কর্ড শাখায় চার-পাঁচটি করে ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। তবে এর মধ্যে ছুটি থাকায় নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়নি। কিন্তু সোমবার বর্ধমান-হাওড়া মেন ও কর্ড লাইনে ১০ জোড়া করে ট্রেন বাতিল ছিল। বর্ধমান-কাটোয়া লাইনে ট্রেন কর্জনা পর্যন্ত যাতায়াত করে। বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল হয়। ফলে, সপ্তাহের শুরুর দিনেই ভোগান্তির মুখে পড়েন যাত্রীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, আজ, মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার দুর্ভোগ আরও বাড়বে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তিন দিনে বর্ধমান-হাওড়া লাইনে বাতিল ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে। তেমনই, বর্ধমান-আসানসোল লাইনে সাত জোড়া করে লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বর্ধমান-রামপুরহাট লাইনেও তিন জোড়া ট্রেন বাতিলের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে রেল।
রেলের হাওড়া ডিভিশনের এক কর্তার দাবি, “পুরনো রেলসেতুকে তিনটি ধাপে ভাঙা হচ্ছে। প্রথমে ৭-৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মের উপরের অংশ, তার পরে ৪, ৫ ও ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের উপরের অংশ ভাঙার কাজ হয়েছে। শেষে বাকি অংশটা ভেঙে ফেলা হচ্ছে।’’ রেল সূত্রে জানা যায়, শতাব্দীর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা সেতুটি ২০১৬ সালে ‘দুর্বল’ বলে ঘোষণা করা হয়। দু’বছর পরে ‘বিপজ্জনক’ ঘোষণা করা হয়। ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সেতুর উপরে যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার পর থেকে সেতু ভাঙা নিয়ে জেলা প্রশাসন ও রেলের মধ্যে টালবাহানা চলতে থাকে। ওই সেতু ভেঙে দেওয়ার পরে ‘ফুট ওভারব্রিজ’ তৈরির দাবি জানায় জেলা প্রশাসন। গত বছর ২৮ মার্চ জেলাশাসক প্রিয়ঙ্কা সিংলার সঙ্গে বৈঠকের পরে নতুন ফুট ওভারব্রিজের দাবি মেনে নেয় রেল। তার পরেই ৩.৮১ লক্ষ টাকা খরচ করে সেতু ভাঙার জন্য দরপত্র ডাকে রেল। কিন্তু উড়ালপুলের সংযোগকারী রাস্তার উপরে থাকা ব্যবসায়ীদের বাধায় বেশ কয়েক বার সেতু ভাঙতে গিয়েও রেলকে পিছিয়ে আসতে হয়।
এ দিন বর্ধমান স্টেশনে দাঁড়িয়ে যাত্রী সাজিদ খান, কাঞ্চন কুণ্ডু, ঈশিতা রুদ্রদের দাবি, “সপ্তাহের প্রথম দিনেই দুপুরের দিকে ট্রেনের জন্যে হাপিত্যেশ করে থাকতে হয়েছে। ট্রেন না থাকায় গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে যাত্রীদের।’’ নিত্যযাত্রী সদন ধর, সৌমিলি করেরা মনে করছেন, চলতি সপ্তাহে ট্রেনের জন্য দুর্ভোগ চলবেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy