ভাগীরথীর ঘাটে স্নান করতে জমায়েত। শনিবার সকালে। নিজস্ব চিত্র।
করোনা-পরিস্থিতির মধ্যেই কালীপুজোর সকালে মানুষের ঢল নামল কাটোয়া শহরের রাস্তায়। শনিবার সকাল থেকে শহরের নানা রাস্তায় ভাল ভিড় জমে। বাসস্ট্যান্ড, স্টেশন রোড, কাছারি রোড, লেলিন সরণি, সার্কাস ময়দান, নিচুবাজার, বড়বাজারে হাঁটাচলা করা মুশকিল হয়ে পড়ে। যানজট বেধে যায়। টোটো ও মোটরবাইকের বেপরোয়া চলাচল সমস্যা বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ পথচারীদের অনেকের। রাস্তা আটকে চাঁদা তোলার জেরেও নাজেহাল হতে হয়েছে বলে অভিযোগ অনেকের। সেই সঙ্গে এ দিন ভাগীরথীর নানা ঘাটে স্নান করার ভিড় দেখা যায়।
পুজো উপলক্ষে এ দিন সকাল থেকেই আশপাশের নানা গ্রাম থেকে অনেককে গাড়ি ভাড়া করে দেবরাজঘাট, কালীবাড়ি ঘাট, শ্মশানঘাটে স্নান করতে আসতে দেখা যায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে কোনও পুজো-পার্বণেই লাগোয়া নানা এলাকা থেকে মানুষজন ভাগীরথীতে স্নান ও কেনাকাটা করতে কাটোয়া শহরে আসেন। তার জেরে ভিড় হয়। এ দিন দশকর্মা ও ফলের দোকানে বেশি ভিড় চোখে পড়ে। সকাল থেকে পুলিশ যানজট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। খেপিমা পুজো উপলক্ষে শহরের খেপাকালী মন্দিরগামী রাস্তায় ব্যারিকেড করা হয়। টোটো, মোটরবাইক ও গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। তাতে মন্দির চত্বরে ভিড় অনেকটাই এড়ানো গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
শহরের বাসিন্দা মিঠু দত্তের অভিযোগ, ‘‘এ দিন সকাল থেকে রাস্তাঘাটে ও দোকানে যা ভিড় হয়েছে, তাতে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। দূরত্ব-বিধি তো দূর, অনেকেরই মুখে মাস্ক ছিল না।’’ কয়েকটি পুজো কমিটি নাবালকদের রাস্তায় নামিয়ে গাড়ি আটকে জোর করে চাঁদা তুলছে বলেও অভিযোগ ওঠে শহরে। খবর পেয়ে পুলিশ ধরপাকড় শুরু করে।
কাটোয়া পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাস্তায় ও স্নানের ঘাটগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পুরসভার কর্মীরা সকাল থেকেই সক্রিয় ছিলেন। করোনা-সচেতনতায় পুরসভার তরফে লাগাতার প্রচার চালানো হয়েছে।’’ পুলিশ জানায়, যানজট কমাতে বেশ কিছু রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। গাড়ি আটকে জোর করে চাঁদা তোলার অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy