তৃণমূলের পতাকা হাতে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
পশ্চিম বর্ধমানে ইসিএলের শঙ্করপুর খোলামুখ খনিতে বিস্ফোরণের জেরে সংলগ্ন এলাকার বহু বাড়িতে ফাটল ধরেছে। নেমে যাচ্ছে জলস্তর, এই সব অভিযোগ তুলে সোমবার খনির কাজ বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন অণ্ডালের খান্দরা পঞ্চায়েতের সিঁদুলি গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। নেতৃত্বে ছিল শাসকদল তৃণমূল। প্রায় দু’ঘণ্টা বিক্ষোভ চলে। পরে খনি কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সিঁদুলি গ্রামের কুঁচিপাড়া, মাঝিপাড়া, দিঘিরবাগান ও মিয়াপাড়ার কয়েকশো বাসিন্দা সকাল ৮টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কয়লা উত্তোলনের সময় বিধি মেনে বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে না। এর জেরে ঘরবাড়ি কেঁপে উঠছে। ইতিমধ্যে কুড়িটির বেশি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। খনি সম্প্রসারিত হওয়ায় এলাকায় জলস্তর অনেকটা নেমে গিয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কলে জল পড়ে না বলেও অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে কুয়ো, পুকুরই ভরসা তাঁদের।
এলাকার বাসিন্দা সুভাষ মাঝি, মহম্মদ রিজুয়ানরা জানান, দিঘিরাবাগান প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে একটি চাপা-কল আছে। তাঁদের অভিযোগ, জলস্তর নেমে যাওয়ায় মাঝে মধ্যে জল পড়ে না। কখনও কখনও জলের সঙ্গে গ্যাস বেরিয়ে আসে। ফলে, শিক্ষক থেকে পড়ুয়াদের বাইরে থেকে জল আনতে হয়। বিস্ফোরণের সময় বাড়িতে থাকা যায় না। শ্বাসকষ্টও বাড়ছে। তাঁদের দাবি, এমন ভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হোক যাতে বাড়িতে ফাটল না ধরে। জলের বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
খনি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ খান্দরা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামলেন্দু অধিকারী খনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। শ্যামলেন্দুবাবু জানান, বাসিন্দারা তাঁকে ডেকে পাঠানোয় তিনি ঘটনাস্থলে যান। তাঁদেরই
অনুরোধে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। খনি কর্তৃপক্ষ জানান, দাবিগুলি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy