কাঁকসায় কুনুর নদীর সেতু। নিজস্ব চিত্র।
ফের ফাটল তৈরি হয়েছে কাঁকসায় কুনুরের সেতুতে। সেতুর মাঝ বরাবর অনেকটা বসে গিয়েছে বলেও অভিযোগ। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা নিত্যযাত্রী থেকে যানবাহন চালকদের। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বুধবার সেতু পরিদর্শন করে গিয়েছেন পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা।
পূর্ত দফতর সূত্রে জানা যায়, পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়কের দোমড়ার কাছে কুনুর নদীর উপরে একটি পুরনো সেতু ছিল। রাস্তাটি ১৯৯৬ সালে রাস্তাটি সম্প্রসারণের সময়ে পুরনো সেতুর পাশে ৬০ মিটার লম্বা নতুন সেতু তৈরি করা হয়।
এর পর গত প্রায় সাত বছর ধরে সেতুটি মাঝে মধ্যে বেহাল হয়ে পড়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। ২০১৭-র ডিসেম্বরে প্রথম সেতুর উপরের অংশে ফাটল লক্ষ্য করা যায়। সেতুর মাঝ বরাবর অনেকটা বসেও গিয়েছিল। ২০১৮-র জানুয়ারিতে তা সংস্কার করা হয়। ফের এক বছরের মধ্যে ওই একই জায়গায় সমস্যা দেখা দেয়। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে নিত্যযাত্রীদের দাবি, প্রায়ই সেতু বেহাল হয়ে পড়ে। সংস্কারও করা হয়।
যানবাহন চালকেরা জানান, দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়ক। কাঁকসার দার্জিলিং মোড় থেকে শুরু হওয়া এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েকশো সরকারি ও বেসরকারি বাস যাতায়াত করে। ইট, পাথর, বালি বোঝাই কয়েক হাজার ট্রাক, ডাম্পারও চলাচল করে। কাঁকসা ব্লক ছাড়াও আউশগ্রাম, বীরভূমের বহু এলাকার মানুষ নিত্যদিন নানা প্রয়োজনে এই রাস্তা ব্যবহার করেন। তাই এই সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্থানীয়েরা জানান, প্রায় এক বছর আগে পূর্ত দফতরের তরফে সেতুটির আমূল সংস্কার করা হয়। প্রায় এক মাস রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ ঠাকুরা জানান, তার পর থেকে সব কিছু ঠিকই চলছিল। ফের সমস্যা দেখা দিয়েছে। আর এক বাসিন্দা সুশান্ত ঘোষ বলেন, “স্কুলবাসও এই সেতু দিয়ে যায়। তাই সকলের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত নতুন সেতু তৈরি করা হলে ভাল হয়।”
পূর্ত দফতর সূত্রে জানা যায়, যানবাবনের চাপ বেড়েছে। জলের স্রোতে বালি সরে যাওয়ায় সেতুর স্তম্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যার জেরে এই সমস্যা। দ্রুত সংস্কার করা হবে। তবে বছর চারেক আগে একটি নতুন সেতু তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জমি-জটের কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy