প্রতীকী ছবি।
স্ত্রী ও ছেলের চিকিৎসার জন্য তামিলনাড়ুর ভেল্লোরে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন দুর্গাপুর বাজারের ব্যবসায়ী দীপক কেশরী। তিনি জানান, সঙ্গে থাকা টাকাও প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। পাশাপাশি, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বহু বাসিন্দা ভেল্লোরে আটকে রয়েছেন। তাঁদের সবাইকেই বাড়ি ফেরানোর জন্য ব্যবস্থা করুক রাজ্য সরকার, এমনই আর্জি জানিয়েছেন দীপকবাবু।
দুর্গাপুর বাজারের ব্যবসায়ী দীপকবাবু জানান, ছেলে ও স্ত্রীর ত্বকের সমস্যার চিকিৎসার জন্য গত ১৭ মার্চ ভেল্লোরে পৌঁছন। ২৮ মার্চ ফেরার ট্রেনের টিকিট কাটা ছিল। কিন্তু তার আগেই ‘লকডাউন’ শুরু হয়। বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচলও। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘আর পারছি না। সঙ্গে থাকা টাকা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। আমাদের মতো রাজ্যের নানা প্রান্তের দু’হাজার বাসিন্দা এখানে রয়েছেন। রাজ্য সরকার ট্রেনে করে আমাদের ফেরানোর ব্যবস্থা করলে ভাল হয়।’’ ওই পরিবারটি জানায়, ট্রেনে চাপার আগে ও হাওড়া স্টেশনে নেমে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হোক। তাঁরা ১৪ দিন গৃহ পর্যবেক্ষণেও থাকবেন বলে জানান দীপকবাবু।
তামিলনাড়ুর যে এলাকায় তাঁরা রয়েছেন, তা ‘গ্রিন জ়োন’ বলে জানান ওই ব্যবসায়ী। ওই পরিবারটি এই মুহূর্তে সেখানে একটি হোটেলে রয়েছে। খাবার পেতে এখনও অসুবিধা হয়নি বলে জানান ওই ব্যবসায়ী।
দীপকবাবুর পাশাপাশি, ভেল্লোরে চিকিৎসার জন্য যাওয়া দুর্গাপুরের দু’টি এবং রাজ্যের অন্য জায়গার আরও আটটি পরিবারের সদস্যেরাও সমস্যা পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। ‘লকডাউন-পর্বের’ শুরুর দিকে, অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে ভেল্লোর থেকে দুর্গাপুরের কয়েকজন বাড়ি আসেন। কিন্তু পরে সেই পথও বন্ধ হয়ে যায়। এপ্রিলের শেষে ভেল্লোরের জেলাশাসকের অনুমতি জোগাড় করে অ্যাম্বুল্যান্সে চড়ে ওই দশটি পরিবার রাজ্যে ফিরছিলেন। কিন্তু ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ সীমানায় তাঁদের আটকায় পুলিশ। চালক ভাড়া বুঝে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে ফিরে যান। ওই দশটি পরিবারকে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানা খড়গপুরের একটি ‘কোয়রান্টিন কেন্দ্র’-এ পাঠায়।
এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুর পূর্বের সিপিএম বিধায়ক সন্তোষ দ????? ????, ?????েবরায় বলেন, ‘‘ভিন্-রাজ্যে আটকে থাকা রাজ্যবাসীদের ফেরাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছি। দ্রুত তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা করুক কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার।’’ অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy