প্রতীকী ছবি।
ডিজিটাল রেশন কার্ডও নেই এবং ‘ফুড-কুপন’ও পাননি, এই ধরনের উপভোক্তারা রেশনের জন্য জেলার খাদ্যভবনের সামনে দিনের পর দিন লাইন দিয়েছিলেন। তাঁরা যাতে রেশনের চাল পান সে জন্য ‘বিশেষ কুপন’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। কয়েক দিনের মধ্যেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় নতুন ব্যবস্থায় রেশন দেওয়া শুরু হবে বলে জানাল প্রশাসন।
জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী বলেন, ‘‘এই জেলায় ২৫ হাজার মানুষের হাতে ‘বিশেষ ফুড কুপন’ তুলে দেওয়া হবে।’’ প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সাধারণ ফুড কুপনের মতোই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, আশাকর্মীরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে এই কুপন তুলে দেবেন প্রাপকদের হাতে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (খাদ্য) হুমায়ুন বিশ্বাস বলেন, ‘‘আবেদনকারীদের বিশদ তথ্য দফতরের পোর্টালে তোলা হচ্ছে। সেই কাজ শেষ হলেই প্রাপকেরা রেশনের জিনিস পাবেন।’’ জেলার খাদ্য নিয়ামক আবির বালি জানান, দু’-এক দিনের মধ্যেই বিশেষ ফুড কুপনের প্রাপকেরা রেশন থেকে চাল পাবেন।
খাদ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, এর আগে আড়াই লক্ষের বেশি মানুষ ‘ফুড কুপন’ পেয়েছিলেন। কিন্তু যাঁদের নতুন ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই বা আবেদন করেননি এবং যাঁরা ‘ফুড-কুপন’ পাননি, অথচ, কাছে পুরনো কাগজের কার্ড রয়েছে, তাঁরাই বিশেষ ‘ফুড কুপন’ পাওয়ার অধিকারী। সে জন্য তাঁদের পুরনো রেশন কার্ডের সঙ্গে অনেকগুলি নথির প্রতিলিপি খাদ্য দফতরে জমা দিতে হয়েছে। তবে ওই সব আবেদনকারী সত্যি খাদ্য-সঙ্কটে ভুগছেন কি না, তা খতিয়ে দেখার পরেই বিশেষ কুপন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১২ মে রাজ্যের খাদ্য সচিব পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি এক নির্দেশিকায় জানান, আগামী তিন মাসের জন্য বিশেষ কুপনের প্রাপকেরা চাল পাবেন। কুপন পিছু পাঁচ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। খাদ্য দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিশেষ কুপনের প্রাপকদের প্রতি মাসের ১৫-৩০ তারিখের মধ্যে প্রাপ্য সামগ্রী দিতে হবে। ‘লকডাউন’-এর কঠিন পরিস্থিতির জন্য এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
বিশেষ কুপনে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া শুরু হলে, সমস্যার অনেকটা সুরাহা হবে বলে আশা করছেন খাদ্য দফতর ও প্রশাসনের কর্তারা। তাঁরা জানান, জেলায় প্রায় ৫৩ লক্ষ মানুষের কাছে রেশন কার্ড রয়েছে। ‘ফুড কুপন’ পেয়েছেন প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ। এর বাইরেও ত্রাণ বাবদ চাল পেয়েছেন প্রায় ৯০ হাজার মানুষ। এ বার ২৫ হাজার মানুষের হাতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে গেলে জেলায় আর কেউ ‘লকডাউন’-এর সময়ে রেশন ব্যবস্থার বাইরে থাকবেন না বলে মনে করা হচ্ছে। বাসিন্দাদের অনেকেরও দাবি, ‘লকডাউন’-এর সময় থেকে অনেকেই চেয়ে-চিন্তে বা বিলি করা খাবারের উপরে নির্ভর করছেন। এ বার রেশনের চাল পেলে তাঁদেরও সুরাহা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy