নিয়ামতপুর বাজারে। নিজস্ব চিত্র
তৃতীয় দফার লকডাউনে, সোমবার থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আসানসোল মহকুমাও তার আওতায় রয়েছে। কিন্তু এই ছাড়ের ঘোষণার পরেই, এই মহকুমার বেশ কিছু অঞ্চলে উধাও হয়ে গিয়েছে নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ববিধি। মঙ্গলবার তেমন কিছু ছবি ধরা পড়ল আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায়। দেখে মনে হবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে, বলে জানাচ্ছেন বাসিন্দাদের একাংশ। যদিও জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি এ দিনও জানিয়েছেন, ছাড় মিললেও দূরত্ববিধি থেকে রেহাই মেলেনি। এই বিষয়টি কঠোর ভাবে মানতে হবে। অন্যথায় লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দূরত্ববিধি মেনে চলতে মঙ্গলবারও পুলিশের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাইকে প্রচার করা হয়েছে। এরই মাঝে নিয়ামতপুর এলাকায় দেখা গেল, করোনার আগে স্বাভাবিক দিনের মতো এ দিনও কাতারে কাতারে মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। সকাল সাড়ে ১০টায় লিথুড়িয়া রোড, স্টেশন রোডে গিয়ে দেখা গেল, মানুষজন একে অপরের গায়ে-গায়ে দাঁড়িয়ে দোকান-বাজার করছেন। বিক্রেতারা দোকানের সামনে ক্রেতাদের দাঁড়ানোর জন্য গোল চিহ্ন এঁকে দিয়েছেন। কিন্তু কেউই প্রায় সেই নিয়ম মেনে চলছেন না।
আসানসোলের কোর্টবাজার এলাকায় এ দিন সকালে আনাজ ও মাছের বাজারের থিকথিকে ভিড় নজরে এসেছে। তেমনি অনেককেই ‘মাস্ক’ বা কাপড় দিয়ে মুখ না ঢেকেই রাস্তায় বেরিয়েছেন। প্রায় সব দোকানে লেখা রয়েছে ‘মাস্ক’ না থাকলে সামগ্রী দেওয়া হবে না। এর পরেও ক্রেতারা ‘মাস্ক’ ছাড়া দোকানে এসে সামগ্রী পাওয়ার জন্য জোর করছেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা অভিজিৎ বসাক বলেন, ‘‘সকলেই প্রায় দূরত্ব বিধি শিকেয় তুলে দিয়েছেন। এই অবস্থায় সংক্রমণ বাড়বে বই কমবে না।’’
‘নিয়ামতপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়’-এর সম্পাদক শচীন ভালোটিয়ার ক্ষোভ, ‘‘মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু ক্রেতাদের একাংশ ‘মাস্ক’ ছাড়া সামগ্রী কিনতে এসে বিক্রেতাদের সঙ্গে বচসা করছেন।’’ শহরবাসী দূরত্ববিধি না মানায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর দাবি, ‘‘গত ১৭ দিনে নতুন করে আর কোনও সংক্রমণের খবর নেই জেলায়। তবুও বলব এখনও সতর্কতা মেনে চলা উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy