মেলার প্রস্তুতি। —নিজস্ব চিত্র।
সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কোনও কোনও স্কুলে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট এখনও শেষ হয়নি। এই সময়ে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই কাটোয়া শহরের একটি বেসরকারি স্কুল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিকেল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চার দিক খোলা মাঠে মেলা ও সাউন্ড বক্স বাজিয়ে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বলে অভিযোগ। অনুষ্ঠান চলবে কাল শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত। কয়য়েক দিন ধরে মাঠ জুড়ে প্যান্ডেল বাঁধার কাজ চলছে। ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের নিন্দা করেছেন কাটোয়ার স্কুল পরিদর্শক থেকে শুরু করে সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও।
যে মাঠে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা, তার আশপাশের বাসিন্দাদের দাবি, অনেক বাড়িতেই পড়ুয়া রয়েছে। পরীক্ষার সময়ে অধিক রাত পর্যন্ত বক্স বাজানো হলে সমস্যা হবে। মহকুমাশাসক-সহ প্রশাসনের নানা মহলে অভিযোগ করে অনুষ্ঠান বন্ধের দাবি করেছেন এলাকাবাসী। বুধবার বিকেলে এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এলাকা পরিদর্শন করে মহকুমাশাসককে সবিস্তার রির্পোট দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
কাটোয়া মহকুমার সহকারী স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “এখানে সব মাধ্যমের ছাত্র-ছাত্রীরা থাকে। প্রতিটি স্কুলেই বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। খোলা জায়গায় অনুষ্ঠান করলে পরীক্ষার্থীদের মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটবে। ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের ভাবা উচিত ছিল।”
ওই বেসরকারি স্কুলের ম্যানেজার আগেই বলেছিলেন, ‘‘মহকুমাশাসকের অনুমতি নিয়েই স্কুলের অনুষ্ঠান করা হচ্ছে।’’ যদিও কাটোয়া মহকুমা প্রশাসনের এক আধিকারিকের দাবি, স্কুলকে অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে পাড়ার ভিতরে স্কুল লাগোয়া মাঠে তিন দিন ধরে বার্ষিক অনুষ্ঠান করে আসছে ওই স্কুল। মেলা বসে। বাইরে থেকে শিল্পীরা আসেন। বেশ রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠান হয়। স্থানীয় বাসিন্দা প্রকাশ কোঁয়ার, সনু দত্ত, মাধবী পালেরা বলেন, “আমাদের প্রত্যেকের বাড়ির ছেলে-মেয়েদের স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। অনুষ্ঠান কয়েক দিন পিছিয়ে দিতে বলেছিলাম। কিন্তু, স্কুল কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দেন, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে এই সময়ে পরীক্ষা নেই। তাই অনুষ্ঠান পিছনো যাবে না। বেশ কয়েক বছর ধরেই এটা চলছে। প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” কাটোয়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাধুরী দাস মজুমদার বলেন, “এই সময়ে প্রতিটি স্কুলের পরীক্ষা চলছে। খোলা জায়গায় মেলা, অনুষ্ঠান করা অবশ্যই উচিত নয়।” কোশিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমীরকান্তি মণ্ডলও বলেন, “পরীক্ষার সময় ওই অনুষ্ঠান বাতিল করা উচিত। প্রশাসন অনুষ্ঠানের অনুমতি দেবে বলে মনে হয় না।” কাটোয়ার ভারতী ভবন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনারুল হক মণ্ডলের দাবি, “পরীক্ষার সময় খোলা জায়গায় অনুষ্ঠান করা ঠিক নয়। ওই স্কুলের সতর্ক থাকা উচিত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy