Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
COVID-19

পাঁচটি অক্সিজেন প্ল্যান্টে সমস্যা মেটানোর ভাবনা

কয়েক দিনের মধ্যে প্ল্যান্টগুলি চালু হয়ে যাবে বলেও জানা গিয়েছে।

অক্সিজেন জোগাড়।

অক্সিজেন জোগাড়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২১ ০৫:৪০
Share: Save:

করোনা-রোগীদের অক্সিজেন সঙ্কট কাটাতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় পাঁচটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসতে চলছে। কয়েক দিনের মধ্যে প্ল্যান্টগুলি চালু হয়ে যাবে বলেও জানা গিয়েছে।

পূর্ব বর্ধমানে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ন’শো ছুঁতে চলেছে। জেলা সদর বর্ধমানে প্রতিদিন গড়ে দু’শো-তিনশো জন আক্রান্ত হচ্ছেন। সংক্রমণের হার কোথায় গিয়ে থামবে, তা নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের অনুমান, পরিস্থতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে সংক্রমণ এখন বাড়বে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার থেকে শনিবারের মধ্যে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৭০৬ জন। মারা গিয়েছেন ১৩ জন। সঙ্কটজনক রোগীর সংখ্যা বৃ্দ্ধি হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। বাড়ছে আইসিইউ, সিসিইউ, এইচডিইউ শয্যার চাহিদাও। প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, জেলায় এই মূহুর্তে অক্সিজেনের সঙ্কট না থাকলেও ভবিষ্যতে অভাব দেখা দিতে পারে। সিলিন্ডারেরও আকাল দেখা দিয়েছে। সমস্যা মেটাতে টাস্ক ফোর্সও গঠন হয়েছে। শিল্পক্ষেত্রের সিলিন্ডার মেডিক্যালে ব্যবহার করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ করা হয়েছে। জেলাশাসক প্রিয়ঙ্কা সিংলাও বলেন, ‘‘করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য জেলায় পাঁচটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি হবে।’’

স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, কৃষি ভবন কোভিড-হাসপাতালে, কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল ও কালনা মিলিয়ে পাঁচটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি হবে। এর মধ্যে কাটোয়া ও কালনায় মিনিটে ৫০০ লিটার ও বর্ধমানের দু’টিতে মিনিটে হাজার লিটার অক্সিজেন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন প্ল্যান্ট বসছে। প্ল্যান্ট থেকে সরাসরি পাইপলাইনের মাধ্যমে রোগীদের কাছে অক্সিজেন পৌঁছে যাবে। সিএমওএইচ প্রণব রায় বলেন, ‘‘প্ল্যান্টগুলি তৈরি হয়ে গেলে করোনা আক্রান্তদের আরও উন্নত পরিষেবা দেওয়া যাবে।’’

আপাতত জেলায় সিলিন্ডারের অভাব রয়েছে। রাজ্যের কাছে তিনশোটি সিলিন্ডার চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। চিকিৎসকদের দাবি, প্ল্যান্ট তৈরি হলে সিসিইউ, আইসিইউ, এইচডিইউ শয্যাও বাড়ানো যেতে পারে। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, অনেক রোগীরই এক ঘণ্টার মধ্যে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৬ থেকে ৬৪তে নেমে যাচ্ছে। ‘ক্রিটিক্যাল ইউনিটের’ অভাবে আক্রান্তকে অক্সিজেন দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে বলেও জানান তাঁরা। পর্যাপ্ত অক্সিজেন ব্যবস্থা থাকলে এই ধরনের রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Oxygen COVID-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy