এক জায়গায় চাকরি করে দু’জায়গা থেকে বেতন নেওয়ার অভিযোগ পুরকর্মী নিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। নিজস্ব ছবি।
সৃজিতা মিত্রের পর নিরুপম চট্টোপাধ্যায়। আবার এক জায়গায় চাকরি করে দু’জায়গা থেকে বেতন নেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগকারী আসানসোল পুরনিগমের সেই কংগ্রেস কাউন্সিলর গুলাম সরোবর। গত জুনে তাঁরই অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গিয়েছিল এমন আরও একটি ঘটনার কথা।
গুলামের অভিযোগ, আসানসোল পুরনিগমের স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী নিরুপম রানিগঞ্জ বরোর স্বাস্থ্য দফতরে কাজ করেন। তার জন্য তিনি ১০,৩৫০ টাকা বেতন পান৷ আবার রানিগঞ্জ বরো অফিসে হিসাবরক্ষক হিসাবেও ভাতা পাচ্ছেন ২,৮৩২ টাকা! এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি অভিযুক্ত কর্মী।
রানিগঞ্জ বরোর তৎকালীন ইঞ্জিনিয়র ইন্দ্রজিৎ কোনার। তিনিই ছিলেন এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত। বর্তমানে আসানসোল পুরনিগমের ৫ নম্বর বরোতে কর্মরত। তিনি বলেন, ‘‘এখন আমি রানিগঞ্জ বরোতে নেই, আমার বদলি হয়ে গিয়েছে। তবে যাঁরা এই অভিযোগ করছেন তাঁরা ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। বোর্ডের সিদ্ধান্ত ছাড়া এই ভাবে কেউ বেতন পান না।’’
আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ দিবেন্দু ভগত জানান তিনি খবর পেয়েছেন। সিদ্ধান্ত সম্পর্কিত নথি চেয়ে পাঠিয়েছেন বলেও জানান। আসানসোল পুরনিগমের কমিশনার রাহুল মজুমদার বলেন, ‘‘আমি নামটা লিখে রাখলাম। খোঁজ নিয়ে দেখে বলব। তবে কোনও কর্মী এ ভাবে দুটি বিভাগ থেকে বেতন নিতে পারেন না। আমাকে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’’
অভিযোগকারী কংগ্রেস কাউন্সিলর গুলাম বলেন, ‘‘আসানসোল পুরনিগমে এমন অনেক কর্মী রয়েছেন যাঁরা এ ভাবেই দুই বিভাগ থেকে বেতন নিচ্ছেন। এর আগে রানিগঞ্জ বরোতেই এক জন ছিলেন। সেই অভিযোগ করেছিলাম। তার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে সংবাদমাধ্যমে জানতে পারি। কিন্তু পুরনিগম আমাকে কিছু জানায়নি। এ রকমই আরও একাধিক কর্মী রয়েছেন জামুরিয়া, রানিগঞ্জ বরোতে, যাঁরা এ ভাবেই দ্বিগুণ বেতন নিচ্ছেন বলে খবর পেয়েছি।’’
গুলামের অভিযোগের ভিত্তিতেই জানা গিয়েছিল, আসানসোল পুরনিগমের চুক্তিভিত্তিক কর্মী শ্রীজিতা মিত্র এক জায়গায় কাজ করে দু’জায়গা থেকে বেতন নিচ্ছেন। আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় ঘটনার কথা মেনেও নেন। অভিযুক্ত কর্মীকে টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই আবারও এক জায়গায় কাজ করে দু’জায়গা থেকে বেতন নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক পুরকর্মীর বিরুদ্ধে। তদন্ত করে সত্য উদ্ঘাটিত হোক, এখন এটাই চাইছেন বিরোধীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy