দুর্ঘটনার পরে খবর দেওয়া হয়েছিল পুলিশকে। অভিযোগ, গাড়ি নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে গেলেও আহতকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেনি পুলিশ। উল্টে, ঘটনাস্থল তাদের এলাকায় পড়ছে না জানিয়ে চলে যায়। আহতকে হাসপাতালে পাঠান এলাকাবাসী। তার পরে পুলিশের গাফিলতির অভিযোগে দুর্গাপুরে ঘণ্টাখানেক জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ক্ষুব্ধ জনতা।
সোমবার দুর্ঘটনাটি ঘটে দুর্গাপুরে এনআইটি-র কাছে মহাত্মা গাঁধী রোডে। ওই রাস্তা যেখানে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে গিয়ে পড়ছে, সেই গাঁধী মোড়ে অবরোধ করা হয়। ফলে, কয়েকশো গাড়ি আটকে পড়ে। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘পুলিশ আহতকে উদ্ধার না করে ফিরে গিয়েছে, এটা হওয়ার কথা নয়। যদি হয়, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এ দিন সকালে সাইকেলে করে কাগজ বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন শহরের ইস্পাতপল্লির বাসিন্দা উত্তম রানা। তাঁকে ধাক্কা মারে দুর্গাপুর-বহরমপুরগামী একটি বাস। গুরুতর আহত হন উত্তমবাবু। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাঁরা প্রথমে খবর দেন সংশ্লিষ্ট সিটি সেন্টার ফাঁড়িতে। পুলিশের গাড়ি দুর্ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু এলাকা তাঁদের নয় জানিয়ে সেখান থেকে চলে যান পুলিশকর্মীরা। জনতা তখন খবর দেয় ফরিদপুর ফাঁড়িতে। তবে অবস্থা খারাপ হচ্ছে আঁচ করে আহতকে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা।
জাতীয় সড়কে অবরোধের জেরে আটকে পড়েন অফিসযাত্রী, স্কুলপড়ুয়ারা। ঘণ্টাখানেক পরে পুলিশ অবরোধ তোলে। পুলিশের দাবি, খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানার (সিটি সেন্টার ফাঁড়ি ও ফরিদপুর ফাঁড়ি এই থানার
অন্তর্গত) ওসি দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। আহতকে উদ্ধার করা হয়নি, থানা এই অভিযোগ মানেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy