বর্ধমান রাজ কলেজে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। —নিজস্ব চিত্র।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ‘হুমকি সংস্কৃতি’র অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতে। পড়ুয়াদের বিক্ষোভ, অধ্যক্ষকে ঘেরাও— নানা কিছু ঘটনা ঘটেছে। সেই আবহেই এ বার বর্ধমানের অন্য এক কলেজে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভে সামিল পড়ুয়ারা। তাঁদের আন্দোলনের জেরে অচলাবস্থা বর্ধমানে রাজ কলেজ। উঠেছে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিও।
কলেজে নানা সমস্যার কথা তুলে বিক্ষোভে পা মিলিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, গত ছ’বছর ধরে কলেজের উন্নয়ন থমকে রয়েছে। ভেঙে পড়েছে কলেজের মূলগেট। এই সব বিষয় গত দু’দিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন রাজ কলেজের পড়ুয়ারা। শুক্রবারও জট কাটল না। অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। অভিযোগ আন্দোলনরত পড়ুয়াদের ‘বহিরাগত’ বলা হচ্ছে। তার পরই অধ্যক্ষ নিরঞ্জন মণ্ডলের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।
আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, ‘‘গত ক’বছরে অধ্যক্ষ কী করেছেন?’’ তাঁদের দাবি, কলেজের মহিলা শৌচাগার, কমনরুম এবং ক্লাশরুমের অবস্থা বেহাল। যে সব সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে, সব ক’টার অবস্থাই তথৈবচ। পড়ুয়াদের কথায়, ‘‘অন্যান্য কলেজের থেকে এই রাজ কলেজের বেতন অনেক বেশি। সেখানে নানান সুবিধা, পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফি নেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে আমরা মোটেই সে সব পরিষেবা পাই না।’’
অচলাবস্থার খবর পেয়ে শুক্রবার রাজ কলেজে যান বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুজিতকুমার চৌধুরী। বেশ কিছু ক্ষণ বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকে ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষও। যদিও পুরো বিষয় নিয়ে কোনও মতামত দিতে চাননি তিনি। কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি স্বপনকুমার পান জানান, ছাত্রছাত্রীদের বেশিরভাগ দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে। তিনি মেনে নেন, কলেজে আর্থিক দুর্নীতি না হলেও কিছু পদ্ধতিগত ভুল হয়েছে।
উল্লেখ্য, আরজি করের মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের ঘটনা পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘হুমকি সংস্কৃতি’র অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। সেই আবহে উঠে আসে আরজি করের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগও। বিভিন্ন কলেজে নানা অনিয়ম নিয়ে শোরগোল পড়ে। এ হেন পরিস্থিতিতে রাজ কলেজে অচলাবস্থা দেখা দিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy