সল্টলেকে সেচ দফতরের আবাসনে এই জায়গায় মেলে গৌরবের দেহ। পুলিশের তরফে ঘিরে দেওয়া হয়েছে জায়গাটি। শনিবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এক তরুণের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। সল্টলেকে সেচ দফতরের আবাসনের বাসিন্দা, গৌরব দত্ত (২০) নামে ওই ছাত্রের দেহ শুক্রবার বিকেলের পরে আবাসনের একটি ফ্ল্যাটের সামনে পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। তবে, শনিবার আবাসনের বাসিন্দাদের মধ্যে থেকে এই প্রশ্নই উঠেছে যে, আচমকা এমন ঘটল কী করে?
নিউ টাউনের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন গৌরব। শুক্রবার বিকেলের পরে সেচ দফতরের আবাসনে ওই ছাত্রের ফ্ল্যাটের আশপাশের লোকজন ভারী কিছু পড়ার শব্দ পান। দৌড়ে গিয়ে তাঁরা গৌরবকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই মনে করছে। তবে, সেই আত্মহত্যার পিছনে ওই ছাত্রের কোনও মানসিক চাপ কাজ করছিল কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও গৌরবের পরিবারের তরফে শনিবার রাত পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ। এ দিন ওই ছাত্রের দেহের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে চায় মৃতের পরিবার।
ওই আবাসন সূত্রের খবর, গৌরবের বাবা সেচ দফতরে উচ্চ পদে কর্মরত। বহু বছর ধরেই তাঁর পরিবার ওই আবাসনে রয়েছে। গৌরবকে ওই আবাসনের প্রায় সকলেই চিনতেন। সেখানে এমন খবরও রটেছে যে, ছাত্রটির সঙ্গে তাঁর সহপাঠীদের মারামারি হয়েছিল। তবে, এ নিয়ে পুলিশ স্পষ্ট করে কিছু বলতে চায়নি। পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘ওই পরিবারকে বলা হয়েছে, তারা কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে জানাতে পারে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা কিছু জানায়নি।’’ শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, যে জায়গায় গৌরবের দেহ পড়ে ছিল, সেই জায়গাটি ঘিরে দিয়েছে পুলিশ। তাঁর পরিবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy