Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪

বর্ষবরণের বার পুজোয় সঙ্কল্প নতুন মরসুমের

কেউ চায় মনের মতো দল গড়তে, কেউ আবার চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার আক্ষেপ মেটাতে। নববর্ষের দিন শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন ক্লাবে বার পুজোয় উঠে এল এমনই নানা আকাঙ্খার কথা। নববর্ষের সকাল থেকেই নতুন লক্ষ্য স্থির করে নিল নানা ক্লাব।

দুর্গাপুরের এক ক্লাবে। নিজস্ব চিত্র

দুর্গাপুরের এক ক্লাবে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর ও রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৭ ০১:১৯
Share: Save:

কেউ চায় মনের মতো দল গড়তে, কেউ আবার চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার আক্ষেপ মেটাতে। নববর্ষের দিন শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন ক্লাবে বার পুজোয় উঠে এল এমনই নানা আকাঙ্খার কথা। নববর্ষের সকাল থেকেই নতুন লক্ষ্য স্থির করে নিল নানা ক্লাব।

শনিবার সকালে সালানপুরে মানবহাল মহিলা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ময়দানে মহিলা খেলোয়াড়েরা ৮টি কলসি ভর্তি জল নিয়ে এসে বারে ঢালেন। তার পরে পুজো হয়। দুর্গাপুরের অআকখ কালচারাল ক্লাব গত মরসুমে সুপার ডিভিশনে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। সেই খেদ এখনও যায়নি কর্মকর্তা থেকে খেলোয়াড়দের। ক্লাবের কর্তা দেবদুলাল বিশ্বাস জানান, তাঁরা এ বার বিভিন্ন গ্রামের স্কুল থেকে খেলোয়াড় তুলে আনতে চান। নিজেদের মাঠে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করতে চাইছেন তাঁরা। দেবদুলালবাবু বলেন, ‘‘দলে তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ করে দিতেই আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বারপুজো থেকে নতুন ভাবে পথচলা শুরু করব আমরা।’’

দুর্গাপুরের ডায়মা ক্লাবের গত মরসুমে সুপার ডিভিশন থেকে অবনমন হয়েছে। এ বার তারা প্রথম ডিভিশনে খেলবে। এ বার নতুন খেলোয়াড় তুলে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্লাবটি। এক কর্তা সমীর মজুমদার জানান, এ বছর দল ভাল ভাবে তৈরি করার ইচ্ছে রয়েছে। সে জন্য বাইরে থেকে অনেক খেলোয়াড় তোলার চেষ্টা করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘পুরনো দল ভেঙে নতুন দল গড়তে চাই আমরা। বার পুজোতেও সেই আলোচনা হয়েছে।’’ এ দিন গ্যামন ব্রিজ ফ্রেন্ডস ক্লাবের মাঠেও বার পুজো হয়। ক্লাবের কর্তা মুকুট নাহা জানান, ক্লাবের মাঠে সারা বছর ফুটবল প্রশিক্ষণ শিবির হয়। সেখান থেকেই খেলোয়াড় বেছে নেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘সব বিভাগের খেলোয়াড়দের নিয়ে বার পুজোয় আগামী দিনে আরও ভাল খেলার সংকল্প নেওয়া হয়েছে।’’

চিত্তরঞ্জনের ক্রিসেন্ট ক্লাব, রূপনারায়ণপুরের অগ্রণি ক্লাব, চিত্তরঞ্জনের ছাত্র সঙ্ঘ এবং এফআরসি-র মাঠে বার পুজো হয়। আসানসোলে নিউ আপার চেলিডাঙা অ্যাথলেটিক ক্লাবের মাঠে বার পুজোর পরে রক্তের শ্রেণি নির্ণয় শিবির হয়। ক্লাবের কর্তা চঞ্চল বসু জানান, ক্লাবের সাফল্য কামনায় প্রতি বছরই বার পুজো করেন তাঁরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Poila Baisakh Clubs
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE