বরাকরে সিআইডি। নিজস্ব চিত্র।
বরাকর পুলিশ ফাঁড়ির লক-আপে কয়েকজন অভিযুক্তকে মারধরের অভিযোগ এবং এক জনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে শুক্রবার সিআইডি-র দুই সদস্যের একটি দল বরাকরে গেল। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে তদন্ত করে দলটি। ‘নিহত’ মহম্মদ আরমান খান (২১)-সহ দু’জনের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার দুপুরে সিআইডি আধিকারিক শান্তি দাসের নেতৃত্বে দুই সদস্যের দলটি বরাকরে যায়। প্রথমেই তাঁরা মহম্মদ আরমান খানের বাড়িতে যান। কথা বলেন মৃতের বাবা মহম্মদ কালাম আনসারির সঙ্গে। কবে, কখন তাঁর ছেলেকে পুলিশ নিয়ে গিয়েছিল। কারা আরমানকে নিয়ে যেতে এসেছিলেন, ছেলের মৃত্যুসংবাদ কোথা থেকে, কী ভাবে পেলেন, এমন নানা প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। আরমানের পড়শিদের সঙ্গেও কথা বলেন তদন্তকারীরা। প্রায় ৪৫ মিনিট সেখানে কাটানোর পরে, তদন্তকারীরা বরাকরের ডিসেরগড় রোডের বিসিসিএল আবাসন কলোনিতে যান। সেখানেও বাড়িতে গিয়ে এক জনের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। তবে এ দিন শান্তিবাবু বলেন, ‘‘তদন্তের বিষয়ে আমাদের কিছু বলার এক্তিয়ার নেই। তবে তদন্ত চলছে।’’
গত ৫ জুলাই বরাকর স্টেশন রোডের বাসিন্দা বছর আরমানকে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বরাকর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বরাকরের একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ তাঁর পরিবারের সদস্যদের সে দিন জানিয়েছিল। অভিযোগ, তার পরের দিনই ছেলের মৃত্যুসংবাদ পান আরমানের বাবা কালাম। এ দিকে, গত ৩ জুলাই বিসিসিএল আবাসন কলোনিতে পরপর ১০ বাড়ির তালা ভেঙে চুরির অভিযোগ ওঠে। তাতে জড়িত সন্দেহে ৫ জুলাই কলোনির এক জনকে ফাঁড়িতে নিয়ে যায় পুলিশ। ৭ জুলাই সকালে পুলিশ তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দেয় বলে পরিবারের লোকজন জানান। এ দিন তাঁর বাড়িতেও যান সিআইডি আধিকারিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy