সইফের বাড়ির ঘটনায় বিষ্ণোই যোগ! ছবি: সংগৃহীত।
বাড়িতে ঢুকে সইফ আলি খানের উপর আক্রমণ। এলোপাথাড়ি ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম অভিনেতা। ঠিক এই সময় স্মৃতিতে উস্কে উঠছে একটি ছবির নাম, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’। সলমন খান, মনীষ বেহলের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল সাইফকেও। আর এ ছবির শুটিংয়ের সময়ই সলমনের বিরুদ্ধে উঠেছিল কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ। ২৬ বছর আগে সেই শিকারে সঙ্গ দিয়েছিলেন সইফও!
এই শিকারের কারণেই বিশ্নোই সম্প্রদায়ের লরেন্স বিশ্নোই ও তাঁর দলবল সলমন খানের শত্রু হয়ে উঠেছে। গত বছরই অভিনেতা সলমন খানের বাড়িতে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে লরেন্সের দলের বিরুদ্ধে। তার মাস কয়েক পরেই প্রকাশ্যে খুন হন সলমন-ঘনিষ্ঠ মহারাষ্ট্রের রাজনীতিক বাবা সিদ্দিকি। এ বার কি সইফকেও সেই ঘটনারই মাসুল দিতে হল?
১৯৯৮ সালের অক্টোবরে ছবির শ্যুটিং করতে রাজস্থান গিয়েছিলেন সলমন। সে সময় জোধপুরের কঙ্কনি গ্রামে দু’টি বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেন সলমন, এমনটাই অভিযোগ। একই সময় তিনটি চিঙ্কারাও শিকার করেছিলেন সলমন। মোট চারটি মামলা দায়ের হয়েছিল জনপ্রিয় এই অভিনেতার বিরুদ্ধে। দীর্ঘ সময় মামলা চলার পর নির্দোষ প্রমাণিত হন অভিনেতা। সে দিন নাকি সলমনের সঙ্গে হাজির ছিলেন সোনালি বেন্দ্রে, সইফ আলি খান ও তব্বু।
তখন থেকেই সলমনের উপর ক্ষোভ বিশ্নোই গোষ্ঠীর। ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার পর থেকেই ওই গোষ্ঠী বলিউড অভিনেতাকে হুমকি দিয়ে আসছে। তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি বিশ্নোইদের। কিন্তু সলমন তা করেননি। ফলে সময় যত এগিয়েছে, ক্ষোভ ততই বেড়েছে। গত বছর আবার নতুন হুমকি পেলেন বলিউডের ‘ভাইজান’। এমনকি সলমন-ঘনিষ্ঠদেরও নিস্তার নেই বলে হুমকি দিয়েছে লরেন্স।
যদিও মুম্বই পুলিশ সইফের বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় এখনও কোনও দলের যোগ স্বীকার করেনি। ঘটনার তদন্ত চলেছে। মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার সদস্যেরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। এনকাউন্টার বিশেষজ্ঞ দয়া নায়েককে দেখা গিয়েছে সইফের বাড়ির কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy