আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের অভিযোগে ধৃত। প্রতীকী ছবি।
ট্রেনে বীরভূম থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসছিলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের এক যুব তৃণমূল নেতা। খবর পেয়ে স্টেশন থেকেই অস্ত্র কেনাবেচার অভিযোগে সেই নেতা এবং তাঁর এক সহযোগীকে গ্রেফতার করল সিআইডি। মঙ্গলবার ধৃতদের হাজির করানো হয়েছিল বর্ধমান আদালতে। বিচারক ধৃতদের ছ’দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি জোড়াফুল শিবিরের।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানার শিবদা গ্রামের বাসিন্দা মতিয়ার রহমান শেখ ওরফে কাজল শেখ আর উত্তম কুমার পণ্ডিত দীর্ঘ দিন ধরেই আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচা চক্রের সঙ্গে জড়িত। বিহার এবং বীরভূম থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা পাচার করতেন বলে অভিযোগ সিআইডি-র। ধৃতদের মধ্যে কাজল এলাকায় তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত।
সিআইডি গোপন সূত্রে খবর পায়, দুই অভিযুক্ত বীরভূম থেকে রামপুরহাট-বর্ধমান লোকালে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সোমবার বিকেলে নোওয়াদার ঢাল স্টেশনে নামবেন। সেই মতো সিআইডি-র একটি দল স্টেশনে সাদা পোশাকে ছিল। বিকেল ৪টে ২০ নাগাদ ট্রেনটি নোওয়াদার ঢাল স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে থামে। ট্রেন থেকে নামা মাত্র সিআইডি-র ওই দলটি কাজল এবং উত্তমকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে। তল্লাশির সময় তাঁদের কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়।
এ নিয়ে বিজেপি-র আউশগ্রামের পর্যবেক্ষক শ্যামল রায় বলেন, ‘‘তৃণমূল মানেই তো গুলি-বন্দুক। সেটাই আবার প্রমাণ হল। পুলিশ তৎপর হলে অনেক তৃণমূল নেতার কাছেই বন্দুক মিলবে।’’ আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শেখ সালেক রহমানের পাল্টা দাবি, ‘‘ধৃতরা দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। আগে দল করলেও, এখন তৃণমূলের সঙ্গে ওঁদের কোনও সম্পর্ক নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy