Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

বৈঠক নিষ্ফলা, নামল না বাস

আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ রায় বলেন, ‘‘প্রশাসনের তরফে নিশ্চিত কোনও আশ্বাস পাইনি। তাঁদের পদক্ষেপ এখনও সে ভাবে আশা দেখাতে পারছে না।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৭ ০২:৩৫
Share: Save:

যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে বাস ধর্মঘট চলল বৃহস্পতিবারও। যদিও বাসমালিক ও শ্রমিকদের আস্থা ফেরাতে এ দিন থেকে কিছু পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। যদিও তা সন্তোষজনক নয় দাবি করে রাস্তায় বাস নামাননি মালিকেরা।

অটো ও টোটোর দৌরাত্ম্যের অভিযোগে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে বাস ধর্মঘট। তা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে বুধবারই বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি ও আসানসোলের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রলয় রায়চৌধুরী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছিলেন যাত্রীদের অনেকে। কিন্তু তা হয়নি।

আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ রায় বলেন, ‘‘প্রশাসনের তরফে নিশ্চিত কোনও আশ্বাস পাইনি। তাঁদের পদক্ষেপ এখনও সে ভাবে আশা দেখাতে পারছে না। তাই আমরা ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ সুদীপবাবুর দাবি, বৃহস্পতিবারও বাসের রুটে অটো ও টোটো চলতে দেখা গিয়েছে। যে মুহূর্তে রাজ্য ও জাতীয় সড়কে টোটো ও বাসের রাস্তায় অটো চলাচল বন্ধ হবে, সঙ্গে-সঙ্গে বাস চালানো হবে বলে তাঁদের আশ্বাস।

অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রলয় রায়চৌধুরী জানান, জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জেলার কোথাও ঝাড়খণ্ডের নম্বর লাগানো অটো চলতে দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার থেকেই আসানসোল শহরে ঝাড়খণ্ডের নম্বরের অটো ধরপাকড় শুরু হয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি। এর পরে কুলটি, বরাকর, ডিসেরগড়, সালানপুরেও ধরপাকড় শুরু হবে। চার চাকার অটোগুলিতে বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রী পরিবহণ করা যাবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই অটোগুলি শুধু স্কুল পড়ুয়াদের আনা-নেওয়ায় ব্যবহার করা যাবে। প্রলয়বাবু আরও জানান, শহরের কিছু রাস্তায় অটো চলাচলের নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার বাইরে অটো চললে চালকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রলয়বাবু বলেন, ‘‘আমরা ইতিমধ্যে ধাপে-ধাপে এই সব পদক্ষেপ করতে শুরু করেছি।’’

বুধবারের অভিজ্ঞতার পরে এ দিন নিত্যযাত্রীদের অনেকে বিকল্প ব্যবস্থা করে নিয়েছিলেন। অটো বা ছোট গাড়ি ভাড়া করে অফিস, স্কুলে পৌঁছন তাঁরা। কিন্তু নাকাল হতে হয়েছে দূরদূরান্ত থেকে শহরে আসা মানুষজনকে। সকালে আসানসোল সিটি বাসস্ট্যান্ডে অনেক ক্ষণ বাসের অপেক্ষায় থাকার পরে শেষ পর্যন্ত ট্রেন ধরতে ছুটছিলেন জামুড়িয়ার বাসিন্দা মানব চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘কত দিন এ ভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হবে বুঝতে পারছি না!’’ এই প্রশ্ন আরও অনেক যাত্রীর। কিন্তু সদুত্তর নেই কোনও তরফেই।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE