মহকুমা প্রশাসনের হস্তক্ষেপেও উঠল না অন্ডাল থেকে উখড়া ও দুর্গাপুর রুটের বাস ধর্মঘট। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে এই ধর্মঘট। পরিবহণকর্মীদের দাবি, বেতন বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
রাজ্য সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম বেতন কাঠামো চালু করা-সহ অন্য দাবিতে বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত আসানসোল মহকুমা মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়াকার্স ইউনিয়ন। ধর্মঘটকারীরা দাবি করেছেন, ওয়েলফেয়ার কমিটি গঠন করে মৃত্যুকালীন ক্ষতিপূরণ ও ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ, ইএসআই ও পিএফ চালু করতে হবে। সোমবার সমস্যা মেটাতে মহকুমাশাসকের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়াকার্স ইউনিয়ন, মিনিবাস মালিক সংগঠন, আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের প্রতিনিধি ও অন্ডাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও অন্ডালের বিডিও।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্মঘটকারীরা চালকদের ২৪৪ টাকা ও সহায়ককর্মীদের ২৪০ টাকা করে ন্যূনতম দৈনিক বেতনের দাবি করেছেন। বর্তমানে তা যথাক্রমে ৮৩ ও ৭৩ টাকা। এই দাবিতেই নভেম্বর ও ফেব্রুয়ারিতে দু’বার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। তবে দু’বারই বিডিওর আশ্বাসে এক দিন পরেই ধর্মঘট তুলে নেওয়া হয়েছিল। এ বার অবশ্য প্রশাসনের আশ্বাসে কাজ হয়নি এখনও। তবে মিনিবাস ধর্মঘট চললেও প্রশাসনের উদ্যোগে এখন দু’টি সরকারি বাস চালানো হচ্ছে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি এ বার তুলনায় কম।
আসানসোল মহকুমা মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়াকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজু অহলুয়ালিয়া জানান, এ দিনের বৈঠকে মালিকপক্ষ ওয়েলফেয়ার কমিটি গঠন ও দৈনিক খোরাকি ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা পর্যন্ত করতে রাজি হলেও বেতন বাড়াতে চায়নি। তাই ধর্মঘট চলবে। তাঁর দাবি, ‘‘যতক্ষণ না বেতন বাড়ানো হচ্ছে ততক্ষণ মিনিবাস চালানো যাবে না। প্রশাসন পরিবহণের ব্যবস্থা করলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কারণ আমাদের আন্দোলনের জন্য সাধারণ মানুষ নাকাল হন সেটা আমরা চাই না।” মিনিবাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পরিবহণকর্মীদের দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা চলছে।
সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে বলেই আশা অন্ডালের বিডিও মানস পাণ্ডের। তিনি বলেন, ‘‘ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আশা করছি কাল থেকে বাস চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy