— প্রতীকী ছবি।
এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে বিবাদে জড়াল দুই পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের মৃতদেহ কে নেবে, সে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ও বাপেরবাড়ির মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়। দুই পরিবারের মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। ময়না-তদন্তের পরে স্ত্রী মণি শেঠের হাতেই ওই যুবকের মৃতদেহ তুলে দেয় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত মঙ্গল শেঠের (৩৬) বাড়ি হুগলির দাদপুরের ব্যামরা গ্রামে। রঙের কাজ করতেন তিনি। গত দু’মাস ধরে বর্ধমানের আলিশায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তিনি। কাজের সূত্রে প্রতিদিন দাদপুরেও যাতায়াত ছিল। বুধবার রাতে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে মঙ্গলবাবুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়না-তদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে ছুটে আসেন মণিদেবী। চিকিৎসকেরা তাঁকে জানান, কীটনাশক পান করেই সম্ভবত আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক।
বৃহস্পতিবার খবর পেয়ে দাদপুর থেকে হাসপাতালে আসেন মঙ্গলবাবুর বাড়ির লোকও। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এসেই ছেলের মৃত্যুর জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে দোষারোপ করতে থাকেন তাঁরা। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়, পরে তা পৌঁছয় হাতাহাতিতে। শেষে জুতো ছোঁড়াছুঁড়িও হয়। জরুরি বিভাগের পাশে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের সামনে এই ঘটনায় সকলেই হতভম্ব হয়ে যান। প্রচুর লোকজন জড়ো হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে দু’পক্ষকেই সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্বে নিয়ে আসে।
জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির বছর বারো আগে বিয়ে হয়েছে। তাঁদের ১০ বছরের একটি ছেলে ও ছ’বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। মৃতের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ চলছিল। প্রতিদিন অশান্তি হত। তা এড়াতে মাস দু’য়েক আগে আলিশায় চলে আসেন মঙ্গল। তারপরেও অশান্তি পিছু ছাড়েনি। মণিদেবীর অভিযোগ, “দাদপুর থানায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলাম। তারপরেও ফোন করে অপমান করা হত আমার স্বামীকে। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরেই আমাদের অসহায় করে চলে গেল।’’
মঙ্গলবাবুর বাড়ির লোকজনেদের পাল্টা অভিযোগ, ছেলের আত্মঘাতী হওয়ার পিছনে শ্বশুরবাড়ির লোকজন দায়ী। বিয়ের পর থেকেই অশান্তি চলত বলেও জানা গিয়েছে। যদিও তাঁরা কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। পুলিশ জানিয়েছে, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy