Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

আলডিহিতে বিজেপির দল, কটাক্ষ তৃণমূলের

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ অক্টোবর বিকেলে আকনবাগানের তিন যুবক একটি ‘অবৈধ’ খাদানে কয়লা কাটতে নেমে ভূগর্ভে আটকে পড়েন। চার দিন পরে তাঁদের দেহ উদ্ধার করে এনডিআরএফ।

মৃত এক যুবকের বাড়িতে বিজেপি নেতারা। নিজস্ব চিত্র

মৃত এক যুবকের বাড়িতে বিজেপি নেতারা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কুলটি শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৩১
Share: Save:

খাদানে কয়লা কাটতে গিয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে কুলটির আলডিহির আকনবাগান গ্রামে গেল পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। পরিবারগুলির হাতে অর্থ-সহ কিছু সাহায্য তুলে দেন বিজেপি নেতারা। গোটা বিষয়টি ‘লোক দেখানো’ বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতারা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ অক্টোবর বিকেলে আকনবাগানের তিন যুবক একটি ‘অবৈধ’ খাদানে কয়লা কাটতে নেমে ভূগর্ভে আটকে পড়েন। চার দিন পরে তাঁদের দেহ উদ্ধার করে এনডিআরএফ। সংবাদমাধ্যমের কাছে গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, সরকারের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের কোনও সুবিধা এখনও পাননি তাঁরা। একশো দিনের কাজ থেকে বিধবা বা বার্ধক্য ভাতা, কোনও সুবিধাই মেলে না বলে তাঁদের অভিযোগ। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, পেটের দায়েই এলাকার কিছু যুবক বেআইনি খাদানে ঝুঁকি নিয়ে কয়লা কাটতে যান।

রবিবার আকনবাগান গ্রামে যান জেলা বিজেপির নেতারা। মৃত যুবকদের পরিবারকে সাহায্যের পাশাপাশি গ্রামবাসীর সঙ্গে তাঁদের নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনাও করেন তাঁরা। দলের জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই অভিযোগ করেন, এই গ্রামের গরিব পরিবারগুলি সরকারি কোনও সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। বাসিন্দারা যাতে সে সব সুবিধা পান, তাঁরা সে ব্যাপারে চেষ্টা করবেন বলে তাঁর দাবি।

ঘটনার আট দিন পরে গ্রামে গিয়ে মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার এই উদ্যোগকে বিজেপির প্রচার পাওয়ার চেষ্টা বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কুলটির তৃণমূল বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ঘটনার দিন থেকে তাঁরাই সর্বক্ষণ ওই পরিবারগুলির পাশে থেকেছেন। দেহ উদ্ধারের উদ্যোগ-সহ প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ তাঁরাই করেছেন। এখন সব মিটে যাওয়ার পরে বিজেপি লোক দেখানো কাজ করছে বলে দাবি উজ্জ্বলবাবুর। ওই এলাকার বাসিন্দারা যাতে উপযুক্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা পান, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে আশ্বাস জেলা প্রশাসনের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE