আদালতের বাইরে বিকাশ মিশ্র। — নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-র হেফাজতে থাকাকালীন তাঁকে দিয়ে ‘কারও নাম’ বলানোর চেষ্টা হয়েছিল। কয়লা পাচারকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন পাওয়ার পরেই মন্তব্য বিকাশ মিশ্রের। কলকাতা হাই কোর্ট থেকে বিকাশ আগেই জামিন পেয়েছিলেন। সেই শর্ত বজায় রেখেই মঙ্গলবার তাঁকে জামিন দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত।
জামিন পাওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিকাশ বলেন, ‘‘কয়লা পাচারে কারও নাম বলানোর জন্য অনেক বার চেষ্টা হয়েছে, আগামিদিনেও হবে। আমি ১১ মাস জেল খেটে নিলাম। কিন্তু আমি মিথ্যা কথা বলতে পারব না।’’ সম্প্রতি আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত হুগলির বলাগড়ের বাসিন্দা কুন্তল ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন যে, সিবিআই তাঁকে চাপ দিয়ে দলের নেতাদের নাম বলানোর চেষ্টা করছে। তার আগে সিবিআই এবং ইডি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন যে, তাঁর নাম নিলেই মদন মিত্র এবং কুণাল ঘোষকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছিল ওই তদন্তকারী সংস্থা। অভিষেকের এই মন্তব্যের পর একই সুর শোনা যায় কুন্তলের কণ্ঠে। এ বার কয়লা পাচারকাণ্ডে জামিনপ্রাপ্ত বিকাশের গলাতেও সেই সুর।
সিবিআই হেফাজতে থাকার অভিজ্ঞতা নিয়ে বিকাশ জানিয়েছেন যে, তাঁকে তদন্তকারী আধিকারিক এক ঘণ্টাও জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। লালার সঙ্গে বসিয়ে তাঁকে জেরা নিয়ে বিকাশ বলেন, ‘‘আমাকে মুখোমুখি জেরা করা হয়েছে সে কথা আমি খবরের কাগজে পড়েছি। লালার ছবি আমি সংবাদমাধ্যমে দেখেছি। এখন তাঁকে চিনতে শুরু করেছি। আমার চার্জশিটে কোথাও উল্লেখ করা নেই টাকা লেনদেনের বিষয়টি। ১১ মাস ধরে ওঁরা আমাকে বন্দি করে রেখেছিলেন। কিন্তু কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দুর্নীতি ছিল না, থাকবেও না। কাউকে গ্রেফতার করা যেতেই পারে। কিন্তু কিছু না থাকলে প্রমাণ বেরোবে কী করে?’’ কয়লা পাচারের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগসাজশ নেই বলেও জানিয়েছেন বিকাশ। আদালতে তিনি দাবি করেন, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy