বেরিয়ে রয়েছে পাইপলাইন। দুর্গাপুরে সগড়ভাঙায় বনফুল সরণিতে। ছবি: বিকাশ মশান
রাস্তার তলা দিয়ে গিয়েছে দুর্গাপুর পুরসভার পানীয় জলের পাইপলাইন। ফলে, বনফুল সরণির সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজে গতি আসছে না বলে অভিযোগ। আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এডিডিএ) কাজটি করছে। জটিলতা কাটাতে সম্প্রতি পুরসভা-এডিডিএ বৈঠক হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের এসবি রোড থেকে বেসরকারি গ্রাফাইট কারখানা পর্যন্ত গিয়েছে রাস্তাটি। এটি দিয়ে সগড়ভাঙার বিভিন্ন বেসরকারি কারখানার ভারী ট্রাক চলাচল করে। পাশাপাশি, এলাকাবাসীও যাতায়াত করেন নানা প্রয়োজনে। প্রায় দশ বছর ধরে রাস্তাটি বেহাল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অথচ, এই রাস্তা থেকে ‘টোল’ আদায় করে পুরসভা। ফলে, রাস্তার কাজ পুরসভা না এডিডিএ করবে, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। শেষে ঠিক হয় এডিডিএ রাস্তাটি সংস্কার ওসম্প্রসারণ করবে। এই কাজের জন্য ২০২২-এর মে মাসে দরপত্র ডাকে এডিডিএ। কিন্তু এক জন মাত্র ঠিকাদার যোগ দেওয়ায় থমকে যায় সে প্রক্রিয়া। ফের নতুন করে দরপত্র ডেকে নভেম্বরে ঠিকাদার চূড়ান্ত হয়। প্রায় চার কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা খরচে শুরু হয় রাস্তার কাজ। ঠিক হয়, ২০২৩-এর ১৫ মে মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে। তা হয়নি। এর অন্যতম কারণ, রাস্তার তলা দিয়ে যাওয়া পুরসভার পানীয়জলের পাইপলাইন না সরিয়ে কাজ করলে তা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবার রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে, ভবিষ্যতেনীচের পাইপলাইনে কোনও ত্রুটি দেখা দিলে তা মেরামত করতে ফের রাস্তা খুঁড়তে হবে।
এ দিকে, সম্প্রতি পুর-এলাকার বিভিন্ন কাজকর্ম নিয়ে এডিডিএ ও পুরসভার মধ্যে সমন্বয় বৈঠক হয়। বৈঠকে ছিলেন এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুরের পুর-প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যরা। জানা গিয়েছে, বৈঠকে বনফুল সরণির সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। তাপস বলেন, “ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।” পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তা আগের থেকে চওড়া করা হচ্ছে। তাই পাইপলাইন রাস্তার সীমার মধ্যে চলে এসেছে। অনিন্দিতা বলেন, “জল দফতর দ্রুত প্রয়োজনীয়ব্যবস্থা নেবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy