এর আগে দু’বার জিতেন্দ্র এবং চৈতালির বাড়িতে নোটিস দিয়ে ফিরে গিয়েছে পুলিশ। —ফাইল চিত্র।
তৃতীয় নোটিসে মিলল সাড়া। আসানসোল কম্বলকাণ্ডে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি। শনিবার সকালে তাঁর আবাসনে যায় পুলিশের একটি দল। সেখানে তাঁকে গত ১৪ ডিসেম্বরের ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছে বলে খবর।
এর আগে দু’বার আসানসোলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তাঁর তরফে সাড়া মেলেনি। এর পর শুক্রবার আবার জিতেন-চৈতালির বাড়িতে যায় পুলিশ। তাঁদের কারও দেখা না পেয়ে বাড়ির দরজায় নোটিস সাঁটিয়ে দিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর শিবচর্চা ও কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠান করা হয়েছিল আসানসোলে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি। সেখানেই ঘটে যায় মারাত্মক ঘটনা৷ শুভেন্দু অধিকারী নিজের হাতে বেশ কিছু কম্বল বিতরণ করার পর ওই অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যান। এর পর কম্বল নেওয়ার জন্য শুরু হয় হুড়োহুড়ি। তাতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের৷ আহত হন বেশ কয়েক জন৷ এ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয় জোর চাপান-উতোর। কারণ, পুলিশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, প্রশাসনের কাছ থেকে ওই সভার জন্য কোনও লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়নি। এর পর এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়। মৃত ঝালী বাউড়ির পুত্র সুখেন অভিযোগ করেন আসানসোল উত্তর থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চৈতালি-সহ আরও দুই কাউন্সিলরের নামে অভিযোগে দায়ের হয়।
অন্য দিকে, কলকাতা হাই কোর্ট চৈতালিকে তদন্তে সমস্ত রকম সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে আগামী তিন সপ্তাহ তাঁকে গ্রেফতার বা তাঁর বিরুদ্ধে কোনও দমনমূলক পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। চৈতালির সঙ্গে তাঁর স্বামী জিতেন্দ্রর নামও এফআইআরে রয়েছে। শনিবারের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব নিয়ে জিতেন্দ্র বলেন, ‘‘চৈতালিকে যা যা জিজ্ঞেস করা হবে, সব প্রশ্নের উত্তরই সে দেবে। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে যে ভাবে রাজনীতি হচ্ছে, সেটা দুঃখের।’’
তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন দাসুর বক্তব্য, ‘‘তৃণমূলই কেবলমাত্র আহত এবং নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। সরকারও পাশে আছে। কিন্তু যাঁরা অনুষ্ঠান করলেন, তাঁদের তো সে ভাবে পেল না ওই পরিবারগুলো। এটা নিয়ে কোন রাজনীতি হচ্ছে না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘মৃতের পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। সে নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। তৃণমূলকে শুধু শুধু দোষারোপ করে লাভ নেই। আইনের মুখোমুখি হওয়া উচিত।’’
প্রায় ২ ঘণ্টা চৈতালিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জিতেন্দ্রের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy