আদালতে খোশমেজাজে কেষ্ট। ফাইল ছবি।
১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হল অনুব্রত মণ্ডলকে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে থাকতে হবে জেলে। বুধবার ঘণ্টাখানেকের শুনানি শেষে এমনই নির্দেশ দেন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক। অনুব্রতকে আসানসোল জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে, এ দিন শুনানি চলাকালীন অনুব্রতকে পাওয়া গিয়েছে বেশ খোশমেজাজেই।
বুধবার অনুব্রতকে নিয়ে যখন আদালতের পথে পা বাড়িয়েছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা, তখনই অনুব্রতের জামিনের আবেদন জমা পড়ে যায় আদালতে। মূলত, শারীরিক কারণেই তাঁর জামিনের আবেদন। শুনানির শুরুতেই অনুব্রতের আইনজীবী সওয়াল করেন, তাঁর মক্কেল স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত। এই রোগে কারও মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই শারীরিক কারণ মাথায় রেখে যে কোনও শর্তে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। আইনজীবী আরও জানান, জামিন দেওয়া হলে বাড়িতে রেখে অনুব্রতের চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।
নিজের সওয়ালে আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, অনুব্রতের শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ। তাঁকে অক্সিজেন দিতেও হতে পারে। সে জন্য বিচারক আদালত কক্ষেই অক্সিজেন সিলিন্ডার এনে রাখতে বলেন। প্রয়োজন হলে যাতে অনুব্রতকে দ্রুত অক্সিজেন দেওয়া যায়। আদালত কক্ষে একটি ছোট অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং নেবুলাইজারও এনে রাখা হয়। যদিও ঘণ্টাখানেকের শুনানিতে তার দরকার হয়নি।
যদিও অনুব্রতকে জামিনের তীব্র বিরোধিতা করে সিবিআই। সরকারি আইনজীবী সওয়াল করেন, অনুব্রত এক জন প্রভাবশালী। তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে।
দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারক রায় স্থগিত রাখেন। কিছু ক্ষণ পর তিনি জানান, ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হচ্ছে অনুব্রতকে। ফলে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুব্রতের ঠিকানা আসানসোলের জেলই।
অনুব্রতের আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ বলেন, ‘‘এটা পুরোটাই রাজনৈতিক চক্রান্ত। কোনও কারণ ছাড়াই আমার মক্কেলকে জেল হেফাজতে রাখা হচ্ছে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি ওঁর পূর্ণ আস্থা আছে। আমাদেরও আছে।’’
আদালত জানিয়েছে, জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছ’টার মধ্যে জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন। জেলের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আপাতত থাকবেন অনুব্রত। সেখানে তাঁর কোভিড-সহ বিভিন্ন পরীক্ষা হবে। আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরীক্ষা করবেন।
বুধবার সকালেই অনুব্রতকে একটি ‘এমজি হেক্টর’ গাড়িতে চাপিয়ে আসানসোল রওনা হয় সিবিআই। রাস্তায় বর্ধমানের শক্তিগড়ে জাতীয় সড়কের পাশেই একটি ধাবায় দাঁড়িয়ে পড়ে সিবিআইয়ের কনভয়। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে ঢোকেন অনুব্রত। শোনা যাচ্ছে, ডালপুরি ও লিকার চা দিয়ে প্রাতঃরাশ সারেন বীরভূমের কেষ্ট। তার পর আবার রওনা দেন আসানসোলের পথে। গোটা পথেই তাঁকে দেখে বেশ তরতাজা মনে হয়েছে সাংবাদিকদের। আদালত কক্ষেও অনুব্রতকে পাওয়া গেল খোশমেজাজেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy