বেহাল খণ্ডঘোষের কামালপুরের রাস্তা। নিজস্ব চিত্র।
কৃষক সেতুর পাশে, দামোদরের ধার দিয়ে খণ্ডঘোষের পলেমপুর থেকে মেটেডাঙা পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করার দাবি তুলেছিলেন বাসিন্দারা। দাবিপূরণে রাস্তা কেটে আন্দোলনও করেছিলেন। ক্ষোভ সামলাতে কখনও জেলা পরিষদ, কখনও পূর্ত দফতর রাস্তা সংস্কার করেছে। রাস্তায় পিচের প্রলেপ পড়লেও তা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ২২-২৩টি গ্রামের মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন।
কেতুগ্রামের আমগোড়িয়া থেকে শ্রীগ্রাম হয়ে আনখোনা যাওয়ার প্রায় সাড়ে ১১ কিলোমিটার রাস্তা গত কয়েক বছর ধরে বেহাল বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতের অসুবিধা হয়। স্থানীয়দের মধ্যে এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। তাঁদের অভিযোগ, সংস্কারের নামে প্রহসন হয়েছে। রাস্তার হাল দেখলেই তা বোঝা যায়। বার বার পঞ্চায়েতে দাবি জানানো হলেও রাস্তা পাকা করা তো দূরের কথা, সংস্কার পর্যন্ত হয়নি। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় যাতায়াত করা রীতিমতো আতঙ্কের।
জামালপুরের জৌগ্রাম মোড় থেকে শ্যামনগর পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তার কিছুটা অংশ ভাল থাকলেও বাকি অংশ কার্যত বেহাল। রাস্তায় যানবাহনের চাপ বাড়ছে। রাস্তার দু’দিক দখল হওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। বাসিন্দাদের বক্তব্য, যানবাহনের চাপ সামলাতে রাস্তাটি চওড়া করা প্রয়োজন। জৌগ্রাম পঞ্চায়েত এ নিয়ে জেলা পরিষদকে চিঠিও দিয়েছিল।
শুধু এই তিনটি নয়, জেলার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার অবস্থা একই রকম বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। নিত্যযাত্রীদের ক্ষোভ বাড়ছে। তা কাজে লাগাতে সক্রিয় বিরোধী দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে ওই তিনটি রাস্তা-সহ জেলার ২৩টি গ্রামীণ রাস্তার হাল ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা-৩ প্রকল্পে ওই ২৩টি রাস্তা (মোট দৈর্ঘ্য ২৪১.৩৪০ কিলোমিটার) সংস্কারের অনুমোদন মিলেছে। ওই কাজে ২০২ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ হয়েছে।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, “জেলার মানুষের চাহিদার কথা ভেবে আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। তারই অনুমোদন মিলেছে।” জেলা পরিষদের দাবি, বেশ কিছু রাস্তা সংস্কারের কাজ স্থানীয় দাবি মেনে ‘রাজ্য সড়ক উন্নয়ন সংস্থা’ শুরু করেছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু প্রধানমন্ত্রী আবাস বা একশো দিনের কাজ প্রকল্পই নয়, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার বরাদ্দও আটকে রাখার অভিযোগ ছিল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। বাকি প্রকল্পগুলির মতো এই প্রকল্পটি নিয়েও কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের দৌত্য চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সূত্রের দাবি, সম্প্রতি ওই খাতে বকেয়া বরাদ্দের বড় একটি অংশ ছাড়ার ইঙ্গিত মিলেছিল কেন্দ্রের থেকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, ২০২২-এ প্রায় ৩৪৩ কোটি টাকা গ্রামীণ সড়ক প্রকল্পে রাজ্যকে দিয়েছিল কেন্দ্র। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ওই খাতে আর বরাদ্দ আসেনি।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) শুভলক্ষ্মী বসু বলেন, “অনুমোদন পাওয়ার পরেই রাস্তা তৈরির বাকি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy