Advertisement
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
Bardhaman

Zoo: আলিপুরের ধাঁচেই এ বার পশুপাখি দত্তক শুরু হল বর্ধমানের রমনাবাগান চিড়িয়াখানায়

দত্তক নেওয়া পাখিগুলির মধ্যে রয়েছে, ১টি সিলভার পিজিয়ন, ২টি ময়ূর, ১টি এমু এবং ১টি ইণ্ডিয়ান রোজ রিংগড প্যারাকিট প্রজাতির টিয়া।

রমনাবাগানে শুরু পশুপাখি দত্তকের প্রক্রিয়া।

রমনাবাগানে শুরু পশুপাখি দত্তকের প্রক্রিয়া। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:১৬
Share: Save:

আলিপুর চিড়িয়াখানার মতো এ বার পশুপাখি দত্তক নেওয়ার পদ্ধতি শুরু হল বর্ধমানের রমনাবাগানে। এই প্রথম এক শিশু-সহ চার পক্ষীপ্রেমী দত্তক নিলেন রমনাবাগান জুয়োলজিক্যাল পার্কেj পাঁচটি পাখিকে। পাখিগুলির মধ্যে রয়েছে, ১টি সিলভার পিজিয়ন, ২টি ময়ূর, ১টি এমু এবং ১টি ইণ্ডিয়ান রোজ রিংগড প্যারাকিট প্রজাতির টিয়া। রমনাবাগান চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তরফে বিভাগীয় বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী বুধবার চার পক্ষীপ্রেমীর হাতে পাখিগুলির দত্তক সংক্রান্ত শংসাপত্র তুলে দেন।

রমনাবাগান কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা পাখি দত্তক নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে তিন জন বর্ধমানের বাসিন্দা। শুধুমাত্র বাবা-মায়ের সঙ্গে আসা শিশু শৌর্য দেবের বাড়ি কলকাতায়। তাঁরা প্রত্যেকেই কিছু দিন আগে পাখিগুলি দত্তক নেওয়ার জন্য বর্ধমান বনদফতরে আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁদের সেই আবেদনের স্বীকৃতি এ বার দেওয়া হল।

পাখি দত্তক নেওয়া রোশনী ভট্টাচার্য বর্ধমানের রেনেশাঁ উপনগরীর বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বরাবরের পাখিপ্রেমী। আমার স্বামী দ্যুতিমান ভট্টাচার্য হাওড়া কমিশনারেটের ডিসি (হেডকোয়ার্টার) পদে রয়েছেন। তিনি গত বছর আলিপুর চিড়িয়াখানার একটি পাখি দত্তক নেন। এ বার রমনারবাগানে একটি সিলভার পিজিয়ন এবং একটি ময়ূর দত্তক নিয়েছেন।’’ অর্ণব দাসের মন্তব্য, ‘‘পাখিদের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এক বছরের জন্য একটি ময়ূর আমি দত্তক নিয়েছি। এক বছরের জন্য ময়ূরটির খাবার, রক্ষণবেক্ষণ সব কিছুর দায়িত্ব আমি আমার কাঁধে তুলে নিয়েছি।’’

অন্য দিকে, শৌর্যের বাবা স্বর্ণব দেব বলেন , ‘‘আমি ছেলের পছন্দ মত এমু পাখিটি দত্তক নিয়েছি। রমনাবাগানে বেড়াতে এসে এখানকার পাখিদের দেখে খুব ভালো গেলেছিল। তার পরেই এখানকার পাখি দত্তক নেওয়ার বিষয়ে মনস্থির করেছিলাম। সেই কাজ সম্পূর্ণ হল।’’ শৌর্যের মা সঞ্চারী বলেন, ‘‘আমাদের বেঁচে থাকতে গেলে চারপাশের প্রাণী জগৎকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ছোট বয়সেই হয়তো এটা বুঝতে পেরে আমার ছেলের পশুপাখিদের প্রতি একটা ভালোবাসা তৈরি হয়েছে। সেই ভালোবাসা দেখে আমরা স্বামী-স্ত্রী মিলে ছেলেকে রমনাবাগান জুয়োলজিক্যাল পার্কে নিয়ে এসে পাখি দত্তক নিতে পেরে খুবই খুশি হয়েছি।’’

পূর্ব বর্ধমানের বিভাগীয় বন আধিকারিক নিশা বলেন, ‘‘বর্ধমানের রমনাবাগান জুয়োলজিক্যাল পার্কে বুধবার থেকেই প্রথম পশুপাখি দত্তক দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল। প্রথম দিন চারজন পাচঁটি পাখি দত্তক নিয়েছেন। এটা দেখে অন্যদেরও উৎসাহ বাড়বে। প্রত্যাশা রয়েছে, পশুপাখি দত্তক নেওয়া জন্য আগামী দিনে আরও অনেকে এগিয়ে আসবেন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Bardhaman Zoo Adoptation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy