—নিজস্ব চিত্র।
টোটোতে রয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে স্ট্রেচার। পুরোদস্তুর অ্যাম্বুল্যান্স। করোনাকালে শহরের অলিগলি দিয়ে রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দিতে এমন অভিনব ভাবনা পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার এক বাসিন্দার। নিজের পকেট থেকে প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি ওই অ্যাম্বুল্যান্সটি শনিবার কাটোয়া পুরসভাকে দান করেছেন তিনি।
কাটোয়া পুরসভা সূত্রে খবর, শহরের বাসিন্দা আনজাম হোসেন ওরফে ডেভিড মিঞার ওই ‘টোটো অ্যাম্বুল্যান্স’টি গ্রহণ করেছেন প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আনজাম হোসেন পুরসভার কাছে টোটোর মধ্যে অ্যাম্বুল্যান্স তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমরা তা গ্রহণ করেছি। কোভিড পরিস্থিতিতে এটি বিশেষ কাজে আসবে। এর মাধ্যামে কাটোয়াবাসীদের নিখরচায় পরিষেবা দেওয়া হবে।’’
টোটোকে আ্যম্বুল্যান্সে পরিণত করার ভাবনা এল কী ভাবে? আনজাম বলেন, ‘‘কাটোয়ায় এমন অনেক অলিগলি রয়েছে, যেখানে সহজে চার চাকার গাড়ি ঢুকতে পারে না। ফলে ওই সব পাড়ায় কেউ অসুস্থ হলে তাঁদের অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে প্রচণ্ড সমস্যা হয়। সে কথা মাথায় রেখেই টোটোর মধ্যে আ্যম্বুল্যান্স পরিষেবার ভাবনা।’’
কাটোয়ার বাগানেপাড়ার বনেদি পরিবারের সদস্য আনজামের এলাকায় পরোপকারী বলে সুনাম রয়েছে। ‘টোটো অ্যাম্বুল্যান্স’ তৈরিতে নিজের থেকেই মোট ৯৮ হাজার ৬৫৩ টাকা খরচ করেছেন তিনি। আনজামের কথায়, ‘‘করোনার প্রথম বছরে বহু মানুষ রুজিরোজগার হারিয়েছেন। দ্বিতীয় ঢেউয়ে তীব্র অক্সিজেন সঙ্কটে বহু রোগীর প্রাণ হারিয়েছেন। অক্সিজেন নিয়ে যথেচ্ছ কালোবাজারিও হয়েছে। তাই তৃতীয় ঢেউ আসার আগে অক্সিজেন পরিষেবার প্রস্তুতি নিয়ে রাখা প্রয়োজন।’’
আনজাম জানিয়েছেন, এর পরিষেবা পেতে একটি মোবাইল নম্বরে ফোন করলেই হবে। তাতেই রোগীর দোরগোড়ায় হাজির হবে ‘টোটো আ্যম্বুল্যান্স’!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy