Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

আন্দোলন থমকে, নথি যাচাইয়ে সম্মতি প্রার্থীদের

আন্দোলনের ঝাঁঝ কমে গিয়েছিল দু’দিন আগেই। এ বার আন্দোলন গুটিয়ে সংসদের দাবি মেনে উপযুক্ত নথি যাচাইয়ে সম্মতি দিয়ে চিঠি দিলেন প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। চিঠিতে যত শীঘ্র সম্ভব নিয়োগপত্র দেওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দফতরে চিঠি হাতে বিক্ষোভকারীরা। নিজস্ব চিত্র।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দফতরে চিঠি হাতে বিক্ষোভকারীরা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:১৭
Share: Save:

আন্দোলনের ঝাঁঝ কমে গিয়েছিল দু’দিন আগেই। এ বার আন্দোলন গুটিয়ে সংসদের দাবি মেনে উপযুক্ত নথি যাচাইয়ে সম্মতি দিয়ে চিঠি দিলেন প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। চিঠিতে যত শীঘ্র সম্ভব নিয়োগপত্র দেওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। জেলা থমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান অচিন্ত্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা পাশে আছি, সেটা বুঝতে পেরেই প্রার্থীরা আন্দোলন তুলে নিয়েছেন।’’

সংসদ সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহখানেক আগে প্রায় চার হাজার প্রার্থীদের বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল বয়েজ হাইস্কুলে এসে স্কুল বাছাই করার জন্য এসএমএস করে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। কাউন্সেলিংয়ের পরে ২০৯ জন প্রার্থীর নথিপত্রে সমস্যা আছে বলে জানায় সংসদ। শুরু হয় আন্দোলন। বিক্ষোভকারীদের একাংশ অভিযোগ করেন, ২০১২ সালের ফর্মে কোন স্তরের প্যারাটিচারকে গুরুত্ব দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে কোনও কিছু লেখা ছিল না। ফলে, উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের প্যারাটিচারেরাও ফর্মে টিক চিহ্ন দিয়েছিলেন। এখন জানানো হচ্ছে, শুধুমাত্র প্রাথমিকের প্যারাটিচারদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই সব প্রার্থীদের দাবি, ‘‘আমরা তো কোথাও প্যারাটিচারের নথি জমা দিইনি। ফলে আমাদের আলাদা নম্বরও পাওয়ার কথা নয়। তাহলে সাধারণ প্রার্থী হিসেবে আমরা নিয়োগপত্র পাব না কেন?’’ আর এক দলের আবার অভিযোগ, ফর্মে তাঁরা প্যারাটিচার হিসেবে আবেদন করেননি। কিন্তু সংসদের তালিকায় রয়েছে তাঁরা প্যারাটিচার। এখন তার সাপেক্ষে নথি চাওয়ায় মুশকিলে পড়েছেন তাঁরা।

দুই দলই বুধবার থেকে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। দু’দিন কাটার পর অচিন্ত্যবাবু, জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রার্থীদের প্রতিনিধিরা। সেখানে ঠিক হয়, ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্য দফতরে থাকা নথি ও প্রার্থীদের কাছে থাকা নথি দেখে পরীক্ষা করা হবে। ওই যাচাই চলাকালীন ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের এক আধিকারিক থাকবেন এবং সমগ্র প্রক্রিয়াটাই ভিডিও করা হবে বলেও ঠিক হয়। কিন্তু সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে রাত থেকে রিলে অনশন শুরু করে দেন প্রার্থীরা। তার মধ্যেই ২১ জনের সমস্যা মিটে যায়। বাকি ১৮৮ জনের মধ্যে ১৫৬ জন সোমবার নথি যাচাইয়ের সম্মতি দেন।

প্রার্থীদের যদিও দাবি, ‘‘আন্দোলন ভাঙেনি। সময়ের তালে থমকে দাঁড়িয়েছি। আমাদের জন্য মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অসুবিধা হোক আমরা চাই না, তেমনি প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর আমাদের একটা সুযোগ দিচ্ছেন, হবু শিক্ষক হিসেবে সেটাকে সম্মান জানানো উচিত।’’ তবে ২৭ ফেব্রুয়ারি পক্ষে রায় না গেলে ফের আন্দোলন শুরু হবে বলেও তাঁদের দাবি।

অন্য বিষয়গুলি:

Documentation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE