Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

প্লাস্টিক, গুটখা রুখতে কড়া ব্যবস্থা

নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে প্রথম দিকে সচেতনতা গড়ে তোলায় জোর দেওয়া হয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত পুরসভা, পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতের তরফে সচেতনতা কর্মসূচি নেওয়া হবে। মজুত প্লাস্টিক বা গুটখা সেই দিনের মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে।

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে চণ্ডীদাস বাজারে মিছিল। নিজস্ব চিত্র

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে চণ্ডীদাস বাজারে মিছিল। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৭ ০১:০৫
Share: Save:

পুরসভার পরে এ বার দুর্গাপুরে প্লাস্টিক প্যাকেটের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কড়া পদক্ষেপের কথা জানিয়ে দিল প্রশাসনও। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা জানান, শুধু পুর এলাকা নয়, দুর্গাপুর মহকুমা জুড়েই প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে অভিযান হবে। এর সঙ্গে সোমবার থেকেই শহরে গুটখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানান মহকুমাশাসক।

সোমবার ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন থেকে শহরে তিন ধরনের সামগ্রী মজুত, বিক্রি ও ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুরসভার মেয়র, কমিশনার, বিডিও, পুলিশ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, বণিক সংগঠন-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ দিন থেকে ৫০ মাইক্রনের কম ঘনত্বের প্লাস্টিকের প্যাকেট, থার্মোকলের গ্লাস, প্লেট, কাপ এবং গুটখার ব্যবহার বেআইনি হিসেবে বিবেচিত হবে।

নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে প্রথম দিকে সচেতনতা গড়ে তোলায় জোর দেওয়া হয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত পুরসভা, পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতের তরফে সচেতনতা কর্মসূচি নেওয়া হবে। মজুত প্লাস্টিক বা গুটখা সেই দিনের মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে অভিযান। তবে এখন থেকেই মহকুমা প্রশাসন ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে আগাম না জানিয়ে অভিযান হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। মহকুমাশাসক আরও জানান, জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠির উদ্যোগে প্লাস্টিক প্রক্রিয়াকরণের জন্য সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিএমইআরআই) সঙ্গে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে সিএমইআরআই প্লাস্টিক প্রক্রিয়াকরণের উপরে গবেষণায় অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে।

দুর্গাপুরের পুরসভা এলাকায় প্লাস্টিক ব্যবহারে পুরসভা ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। প্রথম দিকে বেশ কয়েক বার অভিযান হয়। তবে পরে ভাটা পড়ে। এখন আবার প্লাস্টিকের রমরমার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে শহরের বিভিন্ন বাজারে। নতুন জেলার প্রশাসন ফের এ ব্যাপারে মাঠে নামায় পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করছেন শহরবাসী। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘প্লাস্টিকের ক্ষতি থেকে পরিবেশকে মুক্ত করতে নাগরিকদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, ধাপে-ধাপে মহকুমা প্লাস্টিক ও গুটখা মুক্ত হয়ে উঠবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE