বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি থাকলেও গত পাঁচ বছর ধরে তা ‘অকেজো’ ছিল বলে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট পাঠাল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। কার্যত ওই কমিটি নেই বলে মেনে নেওয়া হয়েছে রিপোর্টে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য গৌতম চন্দ্র বলেন, “এগজ়িকিউটিভ কমিটি বা ইসিতে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছি। দু’এক দিনের মধ্যে কমিটির আহ্বায়ক ঠিক করে নতুন ভাবে কমিটি গঠন করা হবে।” মঙ্গলবার পাঠানো রিপোর্টে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য পৃথক হস্টেল, হস্টেল চত্বরে সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর র্যাগিং সম্পর্কিত একাধিক তথ্য জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। প্রথমেই জানতে চাওয়া হয়, কমিটি রয়েছে কি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে নেই বলে জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, যাদবপুর কাণ্ডের পরে হস্টেলগুলিতে র্যাগিং রুখতে স্নাতকোত্তর স্তরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য পৃথক দু’টি হস্টেল করা যায় কি না, সে নিয়ে উচ্চ আধিকারিকরা আলোচনা করেছিলেন। ইসির বৈঠকে অস্থায়ী উপাচার্য সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন। ঠিক হয়, হস্টেলগুলিতে ও গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের বাইরে সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য রাজ্য সরকারের কাছে বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) পাঠিয়ে অনুদান চাওয়া হবে।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য ১১টি হস্টেল রয়েছে। রাজ্য সরকারের সংস্থা রিপোর্টে জানিয়েছে, হস্টেল, তারাবাগ ও গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের বাইরে-ভিতর মিলিয়ে প্রায় ৭৭টি সিসি ক্যামেরার প্রয়োজন। এ ছাড়াও দেড় কিলোমিটার জুড়ে মাটির তলা দিয়ে অপটিক ফাইবারের কেবল বসাতে হবে। সব মিলিয়ে ৫৫ লক্ষ টাকারও বেশি খরচ বলে জানানো হয়। ইসির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ওই টাকা চাওয়া হবে। বুধবার শিক্ষা সচিবকে চিঠি দিয়ে সিসি ক্যামেরা লাগানোর খরচ বহন করার আর্জি জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটি গঠনে অচালবস্থার কথা জানতেন অস্থায়ী উপাচার্য। ওই কমিটির আহ্বায়ক পদত্যাগ করায় কমিটি অকেজো হয়ে পড়ে। উপাচার্য না থাকায় নতুন কমিটিও গড়া যায়নি।
খোঁজ নিয়ে অস্থায়ী উপাচার্য জানতে পারেন, ২০১৮ সালে এক বছরের জন্য একটি কমিটি হয়। সেই কমিটি কার্যত এক দিনের জন্যও বৈঠক করেনি। আবার ২০১৯ সালে উপাচার্যকে মাথায় রেখে কমিটি হয়, সেই কমিটিও গত চার বছর ধরে নিয়মিত বৈঠক করেনি বলে জানা গিয়েছে। গত কয়েক বছরে চারটি অভিযোগ অ্যান্টি র্যাগিং কমিটিতে জমা পড়ে। তার নিষ্পত্তি করেছে কমিটি। উপাচার্য বলেন, “রোগ ধরা পড়তে শুরু করেছে। সবার সহযোগিতা নিয়ে তা সারিয়ে তোলার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy