—প্রতীকী চিত্র।
এক দশকেরও আগে বোনের বাড়ি গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন কালনার কাঁকুরিয়া পঞ্চায়েতের রহিম শেখ। এত দিন পরে তাঁর খোঁজ মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে। পরিবার জানায়, ৩৮ বছরের রহিমকে ফেরত আনার জন্য দ্রুত তারা রওনা দেবে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকের হাতে একটি মিনিট দুয়েকের ভিডিয়ো-সহ কিছু তথ্য আসে। তাতে মুখ ভরা দাড়ি, বড় চুলের শীর্ণকায় এক যুবককে তাঁর বাড়ির এলাকার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি কালনা, ধাত্রীগ্রাম, বুলবুলিতলা, আয়মাপাড়ার নাম করেন। তিনি আরও জানান, তাঁর বাড়ির কাছে সাত দিনের মেলা বসে। তাঁর ভাই বেল, তেঁতুলের ব্যবসা করেন। জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকের হাত ঘুরে সেই ভিডিয়ো পৌঁছয় কালনার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি ব্লক পর্যায়ের সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের সেটি পাঠান। এর পরেই পরিচয় মেলে ওই যুবকের। জানা যায়, রহিমের বাড়ি কাঁকুরিয়ার মথুরহাটি গ্রামে। ভিডিয়োয় বাড়ির ছোট ছেলে রহিমকে দেখে এবং তাঁর গলা শুনে চিনতে অসুবিধা হয়নি মা ছকিনা বিবির।
শনিবার মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে বৃদ্ধা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘‘২০১২ সালে কাটোয়ায় বোনের বাড়ি গিয়েছিল রহিম। ফেরার জন্য ট্রেন ধরলেও, আর বাড়ি আসেনি। তার পরে অনেক খুঁজেও ওকে পাওয়া যায়নি।’’ শীঘ্র ছেলেকে বাড়ি আনতে চান, জানান তিনি। বৃদ্ধার দাবি, রহিম মাঠের কাজ করে সংসার চালাতেন। একাই মাটির ঘর তৈরি করেছিলেন। বিয়েও হয়েছিল। তবে পুত্রবধূ বাড়ি থেকে চলে যাওয়ায় ছেলে মানসিক আঘাত পান। মাঝে মধ্যেই বাড়ি থেকে চলে যেতেন।
প্রতিবেশী বিকাশ রায়, পলাশ সাহানা, শ্যামাপ্রসাদ সাহানারা জানান, এলাকায় জনপ্রিয় ছিলেন রহিম। তাঁর দাদা এখনও তেঁতুল, বেল বিক্রি করেন। ভিডিয়োয় কথা শুনে তাঁকে চিনতে অসুবিধা হয়নি। প্রতিবেশীদের ধারণা, রহিমের হয়তো স্মৃতি হারিয়ে গিয়েছিল। আবার কিছু মনে করতে পারছেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সুনীল সরেন বলেন, ‘‘রহিমকে গ্রামে ফেরাতে পঞ্চায়েত সব রকম সহযোগিতা করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy